জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কোভিশিল্ড টিকার দু’টি ডোজ নিতে হয়। প্রথম যখন এই টিকা দেওয়া হচ্ছিল তখন সর্বোচ্চ ৪২ দিনের ব্যবধান রাখা হয়েছিল প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের মাঝে। কিন্তু আচমকাই সিদ্ধান্ত বদলায় কেন্দ্র। জানিয়ে দেওয়া হয় প্রথম ডোজ নেওয়ার ৮৪ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। টিকার অভাব বলেই এমন সিদ্ধান্ত— এমন অভিযোগও উঠতে শুরু করে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্য বর্ধন জানিয়ে দিলেন কোভিশিল্ড টিকার ২ ডোজের মধ্যে ব্যবধান ৮৪ দিন করার সিদ্ধান্ত ‘স্বচ্ছ’ এবং ‘বিজ্ঞানসম্মত’ ভাবেই নেওয়া হয়েছিল।
বুধবার একটি টুইট করেন হর্য বর্ধন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘কোভিশিল্ড টিকার ২ ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্বচ্ছ ভাবে এবং বিজ্ঞানসম্মত তথ্যের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে। তথ্য মূল্যায়নের জন্য ভারতের একটি শক্তিশালী পদ্ধতি রয়েছে। এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের রাজনীতিকরণ করাটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
যদিও আগেই এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক রিপোর্টে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি-র প্রাক্তন ডিরেক্টর এমডি গুপ্ত বলেন, ‘‘টিকার দুটো ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ২-৩ মাস রাখার পক্ষে আমরা সকলেই সহমত পোষণ করেছিলাম। কিন্তু ব্যবধান ৩-৪ মাস করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ সরকারের। এই সিদ্ধান্ত ঠিক হতেও পারে, আবার না-ও হতে পারে। আমার কাছে এ বিষয়ে কোনও তথ্য নেই।’’ একা এমডি গুপ্ত নন, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মুখ্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অ্যান্টনি ফসি-ও জানিয়েছিলেন, টিকার দু’টি ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়ালে করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি তৈরি হতে পারে। তাতে নতুন করে প্রচুর মানুষ সংক্রমিতও হতে পারেন।
সব দেখেশুনে একটা বড় অংশের ধারণা তৈরি হয়েছিল, টিকার জোগান কম বলেই কেন্দ্র কোভিশিল্ড টিকার দু’টি ডোজ-এর ব্যবধান সংক্রান্ত ওই সিদ্ধান্ত অবৈজ্ঞানিক ভাবেই নিয়েছে। বুধবার সেই বিতর্কেই জল ঢলার চেষ্টা করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। টুইট করে জানিয়ে দিলেন, কোভিশিল্ড টিকার দু’টি ডোজ-এর মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সমস্ত দিক পর্যালোচনা করেই নেওয়া হয়েছে। ওই টুইটে তিনি ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (এনটিএজিআই)-র প্রধান চিকিৎসক এন অরোরারও একটি বিবৃতিও জুড়ে দিয়েছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ব্রিটেনের স্বাস্থ্য নিয়ামক সংস্থা পাবলিক হেল্থ ইংল্যান্ডের একটি রিপোর্ট তুলে ধরেছেন অরোরা। তাতে লেখা, ‘ব্যবধান তিন মাস হলে কোভিশিল্ডের কার্যকারিতা ৬৫-৮৮ শতাংশ হয়। এই প্রক্রিয়ায় ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের আলফা প্রজাতিকে রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছিল।’
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)