ঘূর্ণিঝড় গাজা আছড়ে পড়ল তামিলনাড়ুর উপকূলে, ১২ হাজার মানুষকে সরানো হল নিরাপদ স্থানে

ঘূর্ণিঝড় গাজা আছড়ে পড়লঘূর্ণিঝড় গাজা আছড়ে পড়ল

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় গাজা আছড়ে পড়ল, যদিও তার আগেই তামিলনাড়ুর ওই উপকূলবর্তী এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ১২ হাজার মানুষকে। রাজধানী চেন্নাই থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে নাগাপট্টিনমের কাছে সমতলভূমিতে ঘূর্ণিঝড় গাজা আছড়ে পড়ল।

চেন্নাই আবহাওয়া দফতরের প্রধান এস বালাচন্দ্রন জানিয়েছেন, গোটা ঘূর্ণিঝড়টা আছড়ে পড়তে এখনও ঘণ্টা তিনেক সময় লাগবে। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, তারা গাজা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত। প্রায় ৬ হাজার ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। আটটি উদ্ধারকারী দল তৈরি হয়ে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে প্রায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সেই সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। রাজ্যের ত্রাণ কমিশনার কে সত্যগোপাল জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইছে। তাতে কাঁচা বাড়ির ক্ষতি হতে পারে। উপড়ে যেতে পারে ইলেক্ট্রিকের খুঁটি এবং গাছপালা। সেই সঙ্গে রাস্তাঘাটেরও ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তি‌নি। কৃষি জমিতে জল জমে যাওয়ার পাশাপাশি নীচু জায়গাগুলিতে সমুদ্রের জল ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

নাগাপট্টিনাম, কুড্ডালোর, তাঞ্জাভুর, তিরুভারুর, তুতিকোরিন এবং পুদুকোট্টাইউইল-এ প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। আবহাওয়া দফতর সতর্ক করে দিয়েছে, কোনও কোনও জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাব‌‌না রয়েছে।

উপকূলবর্তী তিন জেলায় সিনিয়র আমলারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। নাগাপট্টিনাম জেলা জুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নাগাপট্টিনামে মোতায়েন করে রাখা আছে। প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় ৬ হাজার ত্রাণ শিবিরের পাশাপাশি উদ্ধার কাজের জন্য প্রায় ৯ হাজার উদ্ধারকারীও রয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড় তিতলি ভোরেই আছড়ে পড়ল ওড়িশা-অন্ধ্র উপকুলে, স্তব্ধ ট্রেন চলাচল

জেলা জুড়ে মোবাইল ফোনের পরিষেবা চালু রাখতে প্রশাসন তৎপর। প্রতিটি পরিষেবাকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও পরিস্থিতিতেই যাতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন না হয়, দেওয়া হয়েছে সে দিকে খেয়াল রাখার নির্দেশও।

দক্ষিণ রেলের তরফে এমন পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। চেন্নাই থেকে নাগাপট্টি‌নাম, তিরুভারুর এঊং তাঞ্জিভুর জেলায় যাওয়ার চারটি ট্রেন বাতিল বলে জানা ওহয়েছে। রামেশ্বরগামী ট্রেনকে মানামাদুরাইতে গিয়েই থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নাগাপট্টিনাম জেলা থেকে প্রায় ১২ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্কুল, কলেজ শুক্রবারও বন্ধ রাখার নির্দেশ রয়েছে।