জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দিল্লিতে প্রতিবাদী কৃষকের আত্মহত্যা আবারও প্রশ্ন তুলে দিল কৃষি আইন নিয়ে। দিল্লির আন্দোলন স্থল থেকে নিজের বাড়িতে ফিরেছিলেন গুরলভ সিং। ২২ বছরের এই আন্দোলনকারীর বাড়ি পঞ্জাবের ভাটিণ্ডায়। গত ২৫ দিন ধরে চলছে কৃষকদের এই আন্দোলন। সেখান থেকেই ১৮ ডিসেম্বর বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। তর দু’দিনের মধ্যেই তাঁকে তাঁর নিজের বাড়িতেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর রবিবার গুরলভকে তাঁর পরিবারের লোকেরা হাসপাতালেও নিয়ে গিয়েছইলেন। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ভাটিণ্ডা জেলার মির্জাপুর গ্রামে এই খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পুলিশ তদন্তে নেমেছে। তবে মনে করা হচ্ছে বিষাক্ত কিছু খেয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ জানতে পেরেছে গুরলভের মাথায় প্রায় ৬ লাখ টাকার ঋণ ছিল। প্রাথমিকভাবে এটাকেই মৃত্যুর কারণ বলা হলেও সরকারিভাবে দেহের ময়নাতদন্ত না হলে কিছুই বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগেও প্রতিবাদে আত্মহত্যার কথা শোনা গিয়েছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েও মৃত্যু হয়েছে। দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় এখন তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি নেমে যাচ্ছে। খোলা আকাশের নিচে বসে ঠান্ডায়ও মৃত্যু হয়েছে কৃষকের। মৃত্যু হয়েছে পথ দুর্ঘটনায়।
এই পরিস্থিতিতে সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই এখন দেখার। এত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও কৃষকরা আন্দোলন থেকে সরতে নারাজ। সরকার পক্ষ একপ্রস্থ আলোচনা করলেও আপাতত সব চুপ। কবে এই সমস্যার সমাধান হবে সেই দিকেই তাকিয়ে কৃষকরা।
(দেশের সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)