জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: গাজিপুরে ঢুকতে বাধা বিরোধী দলনেতাদের বৃহস্পতিবার। ১০টি রাজনৈতিক দলের মোট ১৫ জন নেতা বৃহস্পতিবার হাজির হয়েছিলেন দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে, যেখানে আন্দোলন চলছে কৃষকদের। কিন্তু নির্ধারিত স্থলে পৌঁছনোর আগেই পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হল তাঁদের। গত কয়েকমাস ধরে কৃষি আইন নিয়ে উত্তপ্ত দেশ। কৃষকরা প্রতিবাদে ঘাঁটি গেড়েছে সীমান্তে। ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে ঢুকে লালকেল্লায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা। তা নিয়েও কম তোলপাড় হয়নি। সেখান থেকে ফিরে আবার সীমান্তে আন্দোলন শুরু করেন বিদ্রোহী কৃষকরা।
এদিন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেই সেখানে হাজির হয়েছিলেন এই নেতারা। সেই তালিকায় ছিলেন, শিরোমনি আকালি দলের হরসিমরাত কাউর বাদল, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে, ডিএমকের কামিমোঝি, তৃণমূলের সৌগত রায়সহ আরও অনেকে। একটি বাসে করে সকলে সেখানে পৌঁছেছিলেন।
বাদল টুইট করে বলেন, ‘‘এই প্রথম সামনে থেকে গাজিপুরের পরিস্থিতিটা দেখলাম। যারা আমাদের অন্ন জোগায় তাদের সঙ্গে কী ব্যবহার হচ্ছে। কৃষকদের কাটাতারের ঘেরাটোপে সীমেন্টের দুর্গের মধ্যে রেখে দিয়েছে। এমনকি অ্যাম্বুলেন্স বা দমকলও সেখানে পৌঁছতে পারবে না।’’
গাজিপুর ছাড়াও হরিয়ানা বর্ডারেও বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে পুলিশের ব্যারিকেড। রয়েছে কাটাতারের ঘেরাটোপ। রাস্তায় স্পাইকস ছড়ানো রয়েছে। তৈরি করা হয়েছে পরীখা যাতে আন্দোলনকারী কৃষকরা ২৬ জানুয়ারির মতো দিল্লিতে ঢুকে না পরে।
বিভিন্ন বর্ডারে চলছে কড়া নিরাপত্তা। এদিন বন্ধও রাখা হয়েছে বেশকিছু বর্ডার।
বাদল জানিয়েছেন, তাঁরা ওখানে গিয়েছেন যাতে লোকসভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে আমাদের আটকাতে পারেন না অধ্যক্ষ। এবার সব দলই জানাবে এখানে ঠিক কী কী ঘটল। গতকাল অনেক বিরোধী দল এই আইন তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। পাশাপাশি লালকেল্লায় যা হয়েছে তার শাস্তিরও দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা।
এই আইন আসার পর থেকে সরকারপক্ষ ও কৃষকদের মধ্য ১১ বার কথা হয়েছে। কিন্তু তার পরও কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি।
(আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)