জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হাসিন জাহান কংগ্রেসে যোগ দিলেন। মঙ্গলবার তাঁর হাতে দলের ব্যাটন তুলে দিলেন মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় নিরুপম।
পেশায় মডেল হাসিন জাহান চলতি বছরের এপ্রিলে তাঁর ক্রিকেটার স্বামী মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য অত্যাচারের মামলা করেন। যদিও মহম্মদ শামি গোটাটাই অস্বীকার করেছিলেন। এর পরেও বেশ কয়েক বার হাসিন পুলিশের দ্বারস্থ হন। আলিপুর আদালতে হাসিনের করা সেই মামলা এখনও চলছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মুম্বইতে হাসিন জাহানকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ান সঞ্জয় নিরুপম। মুম্বই কংগ্রেসের তরফে সে কথা টুইট করেও জানানো হয়। সেখানে লেখা হয়, মুম্বই কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মডেল ততা মহম্মদ শামির স্ত্রী হাসিন জাহানকে কংগ্রেসে অভ্যর্থনা জানালেন।
Mumbai Congress President @sanjaynirupam today welcomed Model Hasin Jahan , wife of Cricketer Mohammed Shami to Congress family. pic.twitter.com/aFdt7YI0Lv
— MumbaiCongress (@INCMumbai) October 16, 2018
শামির বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী হাসিনের মূল অভিযোগ ছিল, বহু নারীসঙ্গ। পরিবারকে অবজ্ঞা করা। প্রতিবাদ করায় হাসিনকে হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এর পর তার সঙ্গে ক্রমশ যুক্ত হতে থাকে পাকিস্তানের কোনও মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক, গোপন ফোন খুঁজে পাওয়ার মতো ঘটনা।
রেকর্ড করা হাসিন-শামির কথোপকথন বুধবার প্রকাশ্যে আসে। সেখানে শোনা যায়, শামির শান্ত গলা। যেখানে তিনি বলছেন, দু’জনে মুখোমুখি বসে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে। হাসিনকে ক্ষমা চাইতেও বলেন শামি। তখনই উত্তেজিত হয়ে পড়েন হাসিন। পাল্টা জানতে চান, তাঁর অভিযোগগুলো ভুল কি না?
এর আগে মহম্মদ শামিকে হাজিরা দিতে হয় বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার সদস্যদের সামনে। দিল্লিতে তিন ঘন্টা ধরে জেরা চলে শামির। কিন্তু সেই জেরার ফল সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। তবে প্রয়োজন হলে যে তাঁকে আবার যে কোনও সময় ডেকে পাঠানো হতে পারে সেটা স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল শামিকে।
বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন ইউনিট চেয়েছিল শামির ভূমিকা খতিয়ে দেখতে। গড়াপেটা বা কোনও অনৈতিক কাজের সঙ্গে শামির যোগাযোগ আছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখতে চেয়েছিল বোর্ড। কিন্তু, কোনও তদন্তেই কিছু পাওয়া যায়নি।
হাসিন জাহান এফআইআর-এর কপি পাঠালেন বিসিসিআইকে
সাম্প্রতিক অতীতে কোনও ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত জীবন এমন ভাবে বেআব্রু হয়ে প্রকাশ্যে আসেনি। স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে লালবাজারে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন হাসিন। পরে তিনি একটি অভিযোগপত্র জমা দেন। সেটিকেই তিনি এফআইআর হিসাবে গ্রাহ্য করতে বলেন। সেই মতো শামির বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল।
তবে রাজনীতিতে এসে হাসিন ঠিক কী বার্তা দিতে চাইলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।