জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হাথরাস কাণ্ড ঘিরে উত্তাল দেশ। আর সেই চাপের মুখেই সাসপেন্ড করা হল পাঁচ পুলিশকর্মীকে। তার মধ্যে রয়েছেন পুলিশ সুপারও। শুক্রবার রাতে শেষ পর্যন্ত তাঁর রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। প্রথম দিন থেকেই সিট তদন্ত শুরু করেছিল। তাঁদেরই প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত। প্রশ্ন উঠছে জেলা শাসকের ভূমিকা নিয়েও। গত দু’দিন ধরে হাথরাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি কোনও রাজনৈতিক বিরোধী দলকে।
শুক্রবার হাথরাস ধর্ষণ কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সময়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ। পিছিয়ে নেই উত্তরপ্রদেশ লাগোয়া দিল্লিও। তাই তড়িঘড়ি পুলিশকর্মীদের সাসপেন্ড করে রোষ কমানোর চেষ্টা করল উত্তরপ্রদেশ সরকার।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। যন্তরমন্তরে এদিন ন্যায় চেয়ে জমায়েতে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেখানে হাজির ছিল ভীম আর্মিও। সেখানেই কেজরিওয়াল দোষীদের কড়া শাস্তি দাবি করেন। এবং তিনি বুঝিয়ে দেন দোষীদের আড়াল করার যে চেষ্টা চলছে তা গোটা দেশের কাছে পরিষ্কার। সঙ্গে তিনি মৃতার পরিবারকে সাহায্যের কথাও জানিয়েছেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০ বছরের হাথরাসের বাসিন্দাকে ধর্ষণ করে দূড়ান্ত অত্যাচার করে গ্রামের খেতের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। দু’সপ্তাহের লড়াইয়ের পর মৃত্যু হয় তাঁর। এর পর তড়িঘড়ি রাত আড়াইটের সময় তাঁকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তাঁর পরিবারের অমতে। তার পর থেকেই নানা ভাবে তাঁর পরিবারকে ভয় দেখানো হচ্ছে।
ঘটনার পর দিন মৃতার বাড়িতে যান জেলা শাসক। তিনি যখন পরিবারের সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন তা ভিডিও রেকর্ডিং করে নেয় কেউ। কিছুক্ষণের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও যেখানে রীতিমতো হুমকী দিতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। এর পর এদিন জানা যায়, তাঁর গোটা পরিবারকে গৃহবন্দি করে তাঁদের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ কংগ্রেসের একটি দল যেখানে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ছিলেন তাঁদের গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয় এবং সেখান তেকে তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকেও একইভাবে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশের ধাক্কায় সেদিন পড়ে গিয়েছিলেন রাহুল আর এদিন ডেরেক।
(দেশের সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)