অভিলাষ টমি বেঁচে ফিরে জানালেন, তাঁর ভিতরের এক সৈনিকই বাঁচিয়ে রেখেছিল তাঁকে

অভিলাষ টমিঅভিলাষ টমি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অভিলাষ টমি জীবিত উদ্ধার হলেন শেষ পর্যন্ত। মাঝ সমুদ্রে আছরে পড়ছে একটার পর একটা বিশালাকার ঢেউ। কখনও মনে হচ্ছে এখনই চলে যাবে সেই ঢেউয়ের গ্রাসে। শেষ হয়ে যাবে জীবনটাই। মাঝ সমুদ্রে সেই দৈত্যাকার ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করেই হচ্ছে দিন, কাটছে রাত। যখন প্রায় জীবনী শক্তি জবাব দিয়ে দিচ্ছে তখন কোথা থেকে যেন জেগে উঠেছে এক সৈনিকের বেঁচে থাকার জেদ। আর সেটাই এই ভয়ঙ্কর লড়াই জিততে সাহায্য করেছে ভারতীয় নেভির অফিসার অভিলাষ টমিকে। বেঁচে ফিরে এমনটাই জানিয়েছেন অভিলাষ।

৩৯ বছরের নেভি অফিসার আটকে ছিলেন গভীর সমু্দ্রে। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার সব থেকে কাছের স্থল থেকে যার দুরত্ব ছিল ৩৫০০ কিলোমিটার। শেষ পর্যন্ত তিনি উদ্ধার হয়েছেন। বেঁচে ফিরেছেন প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে। ভারত মহাসাগরে গোল্ডেন গ্লোব রেসে ভারতের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। যখন মাঝ সমুদ্রে পৌঁছয় তাঁর যান তখন সমুদ্র তোলপাড় করে ওঠে ঝড়। সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অভিলাষের নৌকো। ভেঙে যায় মাস্তুল। পিঠে চোট পান তিনিও। এই অবস্থায় ওখান থেকে তাঁর পক্ষে অতটা রাস্তা পেরিয়ে আসা সম্ভব ছিল না জলের মধ্যে দিয়ে।

মাঝ সমুদ্র থেকে যোগাযোগ করার কোনও রাস্তাই ছিল না তাঁর কাছে। তাঁর মূল স্যাটেলাইট ফোনটি খারাপ হয়ে যায়। দ্বিতীয় যে স্যাটেলাইট ফোনটি ছিল সেটা তাঁর থেকে দুরে থাকায় চোট নিয়ে তিনি সেখানে পৌঁছতে পারেননি। কিন্তু তিনি আটকে পড়েছেন সঙ্গে সঙ্গেই খবর রটে যায় সর্বত্র। শুরু হয় উদ্ধার কাজ। ভারতের পক্ষে সঙ্গে সঙ্গে এতটা দুর থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করা সম্ভব ছিল না। তা হেল অনেক দেড়ি হয়ে যেত।

গোল্ডেন গ্লোব রেস শুরু করার আগে ৩০ জুন এই ভিডিওটি শেয়ার করেছিলেন অভিলাষ

http://

অভিলাষকে উদ্ধারের কাজে নামে ফ্রেঞ্চ ফিশারিজ প্যাট্রল ভেসেল। আন্তর্জাতিক এই উদ্ধারকাজ সফলভাবে সম্পূর্ণ করে তারা। উদ্ধার হন অভিলাষ। ভারতীয় সময়  সকাল ১১টা নাগাদ ফরাসী সেই প্যাট্রল যান তাঁর কাছে পৌঁছয়। উপর থেকে সারাক্ষণই সমুদ্রের উপর আকাশ পথে নজর রাখছিল ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার উদ্ধারকারীরা। কিন্তু এখনও শহরে আনা যায়নি অভিলাষকে। সমু্দ্রের যে জায়গায় আটকে ছিলেন অভিলাষ সেখান থেকে সব থেকে কাছের এক দ্বীপে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। তিনি ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানা গিয়েছে।

মাঝ সমুদ্রে আটকে থাকতে হবে আরও ১৬ ঘণ্টা

হাসাপাতালে ভর্তি হওয়ার পর অভিলাষ বলেন, ‘‘সমুদ্রের ভয়ঙ্কর রূপ ছিল। আমি আর আমার বোট থুরিয়া প্রকৃতির বিরুদ্ধেলড়াই চালিয়েছি।আমি বেঁচে গিয়েছি আমার সেলিং স্কিলের জন্য। সঙ্গে আমার মধ্যের এক সৈনিকের সঙ্গে আমার নেভির ট্রেনিং এই লড়াইয়ে সাহায্য করেছে। ভারতীয় নেভি আর যারা আমার উদ্ধারের পিছনে রয়েছে সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’’