জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: India Omicron পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১-এ। এত অল্পদিনে এভাবে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে প্রশাসন রীতিমতো চিন্তায়। তার মধ্যে আতঙ্কে সাধারণ মানুষ নিজেদের গৃহবন্দি না রেখে, পরীক্ষা না করিয়ে, নিয়ম ভঙ্গ করে তা আরও ছড়িয়ে দিচ্ছে। সচেতনতার অভাবে আরও একবার সমস্যায় পড়তে চলেছে ভারত। প্রথম বেঙ্গালুরুতে দু’জনের ধরা পড়ার পর এই তালিকায় ঢুকে পড়েছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, জয়পুর। বিদেশ থেকে ফেরা যাত্রীদের হচ্ছে সঙ্গে তাঁরা যাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন তাঁরাও আক্রান্ত হচ্ছেন।
রবিবার মহারাষ্ট্রে এক সঙ্গে ৭ জনের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪ জন এসেছিলেন বিদেশ থেকে। বাকি ৩ জন এই ৪ জনের সংস্পর্শে এসেছিলেন। জয়পুরে ৯ জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে ওমিক্রন ভাইরাস। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা ৪ জন যোগ দিয়েছিলেন সেখানকার একটি বিয়ে বাড়িতে। যার ফলে একই পরিবারের ৯ জনের শরীরে হানা দিয়েছে এই ভাইরাস। সব মিলে ভারতে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ২১-এ। করোনার এই নতুন স্ট্রেন কোনও বয়স দেখছে। সব থেকে বড় সমস্যার এতে কোনও উপসর্গও খুব বেশি পরিমাণে থাকছে না। যার ফলে স্বাভাবতই মানুষ কিছুটা গা ছাড়া ভাবেই থাকছে। যা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
শনিবার পর্যন্ত এই সংখ্যাটা ছিল ৪। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১-এ। এই ৪ জনের দু’জন বেঙ্গালুরুতে, একজন গুজরাত ও অন্যজন মুম্বইয়ে। এর পর এদিন সকালে দিল্লিতে একজনের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়ে। তার পর মহারাষ্ট্রে ৭ ও জয়পুরে ৯। এখনও সকলের পরীক্ষার ফল এসে পৌঁছয়নি। বিশ্বের ৩৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের নয়া স্ট্রেন। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরাই আক্রান্ত হচ্ছেন এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসারা।
ভারতে আক্রান্তরা কেউ এসেছেন নাইজেরিয়া থেকে, কেউ এসেছেন ফিনল্যান্ড, তানজানিয়া, জিম্বাবয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। ওমিক্রন প্রথম পাওয়া গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাতেই। যে কারণে নতুন করে সব খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও তাতে আবার রাশ টেনেছে সরকার। বিমান বন্দরে আরটিপিসিআর পরীক্ষা তো হচ্ছেই। পজিটিভ এলে সোজা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। আর নেগেটিভ এলে হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে এক সপ্তাহের। তার পর আবার পরীক্ষা। কিন্তু এখানেই নিয়ম ভেঙে বিপদ ডেকে আনছে মানুষ।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)