জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আহত রাহুল গান্ধী, হাথরাসের পথে পুলিশের ধাক্কা আর তাতেই পড়ে গিয়ে হাতে চোট পেলেন তিনি। হাথরাসের পথে রওনা দিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ও রাহুল গান্ধী। আশঙ্কা তো ছিলই, সেই পথে বাধা পাবেন তাঁরা। তেমনটাই হল। বৃহস্পতিবার সকালে কংগ্রেস নেতা-নেত্রীদের নিয়ে হাথরাসের পথে রওনা দেন তাঁরা। এর পর দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ হাইওয়েতে গ্রেটার নয়ডায় তাঁদের গাড়ি আটকানো হয়। এর পর তাঁরা হেঁটেই রওনা দেন। সেখান থেকে হাথরাসের দুরত্ব প্রায় ১৪০ কিলোমিটার।
হেঁটেও তাঁদের এগোতে বাঁধা দেওয়া হলে শুরু হয় বচসা। সেখান থেকে উত্তেজনা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি এবং তার জেরে রাহুলকে গলা ধাক্কা খেতে হয়। আর তখন পড়ে গিয়ে হাতে চোট পান তিনি। রাহুল-প্রিয়ঙ্কার হাথরাস যাওয়ার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। এদিন উত্তরপ্রদেশ সরকার হঠাৎই সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে।
রাহুলের সঙ্গে পুলিশের কথপোকথনে শোনা যায় পুলিশ রাহুলকে বলছেন, ১৪৪ ধারা ভাঙছেন তিনি এবং পাল্টা রাহুল বলেন ১৪৪ ধারার অপব্যবহার করছেন তারা। এর পরই রাহুল ও প্রিয়ঙ্কাকে একটি সাদা রঙের মাহিন্দ্রা বোলেরো গাড়িতে তুলে নিয়েই দ্রুত গতিতে বেরিয়ে যায় পুলিশ। তার পিছন পিছনই রওনা দেয় আরও কিছু গাড়ি।
Have no words to condemn the barbaric & shameful incident at Hathras involving a young Dalit girl. My deepest condolences to the family.
More shameful is the forceful cremation without the family’s presence or consent, exposing those who use slogans & lofty promises for votes.— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 1, 2020
রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় রাস্তা অবরোধ করেন কংগ্রেসর কর্মীরা, তাদের ছাড়ার দাবি ওঠে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, কোভিডের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে এই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সে কারণেই কংগ্রেসের কনভয় আটকানো হয়।
নির্ভয়া কাণ্ডকে মনে করিয়ে হাথরাসে গনধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এক দলিত তরুণীর। ধর্ষণের পর বিভিন্নভাবে তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হয়। শ্বাসরোধ করার চেষ্টা, মেরুদণ্ডে চোট, জিভ কেটে যাওয়াসহ একাধিক চোট নিয়ে দু’সপ্তাহের লড়াই শেষে মঙ্গলবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সেই তরুণী। তাঁকে শেষবারের মতো বাড়িতেও নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। পরিবারের অনুপস্থিতিতেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
যা ঘিরে দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একহাত নিয়েছেন যোগী সরকারকে। তিনি টুইটে লেখেন, ‘‘হাথরাসে জঘন্য, লজ্জাজনক ঘটনার নিন্দার কোনও ভাষা নেই। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। সব থেকে লজ্জাজনক জোর করে তাঁর সেষকৃত্য করা পরিবারের অনুপস্থিতিতে ও বিনা অনুমতিতে। তাদের মুখোশ খুলে দিয়েছে যারা ভোটের জন্য মিথ্যে প্রতিজ্ঞা করে এবং স্লোগান দেয়।’’
(দেশের সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)