জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রক্তাক্ত JNU আক্রমণের শিকার একদল মুখোশধারীর। যার ফলে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে পৌঁছে গেলেন সভানেত্রী ঐশী ঘোষ ও অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন। এই দু’জন ছাড়াও আরও অনেক ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে সকলেরই চিকিৎসা চলছে দিল্লির এইমসে। আহতের সংখ্যা এখনও নিশ্চিত করে জানা যায়নি। তবে এই ঘটনার পরই অভিযোগের আঙুল উঠেছে এবিভিপির দিকে। যদিও তারা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ছাত্রদের অভিযোগ সেই মুখোশধারীরা তাঁদেএর হস্টেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায়। পুলিশ ঠুঠো জগন্নাথই থেকেছে ততক্ষণ। সেই হামলার একটি ভিডিও-ও হাতে এসেছে সংবাদমাধ্যমের। যেখানে দেখা যাচ্ছে লাঠি, পাথর নিয়ে হামলা চালাচ্ছে একদল আর ছাত্র-ছাত্রীর আতঙ্কে ইতস্তত-বিক্ষিপ্ত ছোটছুটি করছেন। ছাত্ররাই জানিয়েছেন সন্ধে ছ’টা নাগাদ কাইকে তোয়াক্কা না করে জেএনইউ চত্তরে ঢুকে পড়ে এই মুখোশধারী একদল লোক। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা পাথর ছুঁড়তে শুরু করে দেয় ছাত্র-ছাত্রীদের লক্ষ্য করে।
ছাত্র-ছাত্রীরা আতঙ্কে ছুটতে শুরু করলে সেই মুখোশধারীরা তাদের তাড়া করতে শুরু করে লাঠি উঁচিয়ে। এর পর একের পর এক হস্টেলে ঢুকে ভাঙচুর চালায় সেই ব্যাক্তিরা। বাদ যায়নি মহিলা হস্টেলও। নৃশংসভাবে মারা হয় ঐশী ঘোষকে।
এর পরই বিশ্ববিদ্যালয় চত্তর ঘিরে ফেলে পুলিশ। পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয় এইমসেও। দুই জায়গাতেই রয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীরা।। তবে কাউকেই সীমানার ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
এই ঘটনার নিন্দা হচ্ছে সমাজের সব স্তরে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে ঘটনার নিন্দা করেছেন।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)
 

