কাফিল খান জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই ফেসবুক লাইভে বিস্ফোরক

কাফিল খানকাফিল খান এখন, তখন।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কাফিল খান জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন মঙ্গলবার মধ্য রাতে। তার পরেই বুধবার ফেসবুক লাইভ করে বিস্ফোরক হয়ে উঠলেন ওই চিকিৎসক। জেলের ভিতর তাঁকে কোন কোন দুর্দশার মধ্যে কাটাতে হয়েছে, সে সবও একের পর এক বর্ণনা করেছেন তিনি।

গত বছরের ১২ ডিসেম্বর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) এবং সংধোদিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভে বক্তৃতা দেন কাফিল। ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স কাফিলকে মুম্বই বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে। ইলাহাবাদ হাইকোর্ট জাতীয় সুরক্ষা আইনে বন্দি চিকিৎসক কাফিল খানকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর মঙ্গলবার মধ্যরাতেই তাঁকে মথুরা জেল থেকে ছাড়া হয়। মুক্ত কাফিল কান জেল থেকে বেরিয়ে জানান, আবার হয়তো নতুন কোনও একটা মামলায় তাঁকে জড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। এর পর বুধবার তিনি ফেসবুক লাইভে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে তিনি ফেসবুক লাইভ করেন।


দেশের আরও খবরের জন্য এখানে ক্লিক করুন

ফেসবুক লাইভে কাফিল খান বলেন, কী ভাবে তাঁকে টানা পাঁচ দিন না খাইয়ে রেখে দেওয়া হয়েছিল জেলে। তাঁকে কী ভাবে মারধর করা হয়েছিল, কী ভাবে শৌচকাজের জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হত ঘণ্টার পর ঘণ্টা, স্নানের জন্যও— সে সবও বর্ণনা করেন তিনি।

দেখুন কাফিল খান-এর সেই ফেসবুক লাইভ…

কাফিলের বক্তৃতায় আলিগড়ে হিংসা ছড়িয়েছে, এমন প্রমাণ রাজ্য সরকার দিতে পারেনি বলে জানায় ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। আলিগড়ের বক্তৃতা নিয়ে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইন প্রয়োগ করে প্রশাসন। আদালতের মতে, প্রশাসনের দেওয়া তথ্যপ্রমাণ থেকে এটা স্পষ্ট কাফিলের বিরুদ্ধে এই ধরনের কঠোর আইন প্রয়োগ এবং যে ভাবে এত দিন তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে, তা বেআইনি।

২০১৭-য় গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেন সরবরাহ না থাকার কারণে অন্তত ৭০ জন শিশুর মৃত্যু হয়। তার পরেই কাফিল খানের নাম সংবাদ শিরোনামে আসে। কাফিল শিশুদের বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করা সত্ত্বেও উল্টে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেন কর্তৃপক্ষ। কাফিল খানকে সাসপেন্ড করা হয়। পরে গ্রেফতারও করা হয়। ওই মামলার শুনানি এখনও চলছে।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)