কর্ণাটকে লকডাউন, ক্রমশ আবার লকডাউনের পথে দেশ

কর্ণাটকে লকডাউন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কর্ণাটকে লকডাউন দু’সপ্তাহের। মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে লকডাউন। গত ২৪ ঘণ্টায় কর্ণাটকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪,০০০-এর ওপর মানুষ। যার পর সঙ্গে সঙ্গেই লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা সেই লকডাউনের কথা বলতে এক কথায় জান‌িয়ে দিলেন, ‘‘ক্লোজ ডাউন। কোভিড কার্ফু রাজ্যে আগামীকাল রাত ৯টার পর থেকে চালু হবে যা চলবে পরবর্তী ১৪ দিন।’’

সকাল ৬-১০যার মধ্যে খোলা হবে এসেন্সিয়াল সার্ভিস। তার পর বন্ধ করে দেওয়া হবে সব দোকা‌ন। কার্ফুর মধ্যে চলবে না কোনও পাবলিক গাড়ি। কাজের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে, কনস্ট্রাকশন, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং এগ্রিকালচারকে। তিনি বলেন, ‘‘মানুষকে সাহায্য করতে হবে। যদি সেটা তাঁরা করে তাহলে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব।’’

আপাতত ৪৫-এর উপরে ফ্রি ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে ১৮-৪৫ বছরকেও ফ্রি ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। গতকাল কর্ণাটকে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৪,৮০৪। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যে দাঁড়িয়েছে ১৩.৩৯ লাখ। মৃত্যু হয়েছে ১৪৩ জনের।

ব্যাঙ্গালোরের আইটি হাব-এ কাজ করা প্রায় ২০,০০০ কর্মী আক্রান্ত। এদিকে পঞ্জাব প্রতিদিন নাইট কার্ফু ঘোষণা করেছে। আর ছুটির দিন পুরো লকডাউন থাকবে। অক্সিজেনের অভাবে ধুকছে পঞ্জাবও। রবিবার পঞ্জাব তাদের আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইন্ডাস্ট্রিগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানকার অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে হাসপাতালগুলোতে। সাহায্য চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের কাছেও। রবিবারই দিল্লি এক সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে দু’সপ্তাহ করেছে রাজধানীর লকডাউনের সময়সীমা।

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ যে ভাবে আছড়ে পড়েছে তাতে সব রাজ্যই একটু একটু করে লকডাউনের পথে হাঁটতে চলেছে। কেরলে সরকার নির্দেশ দিয়েছে সিনেমা হল, মল, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, সুইমিংপুল এবং বার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের। এবং গুরুত্বপূর্ম সার্ভিস শুধু খোলা হবে শনি ও রবিবার। শনিবার বন্ধ থাকবে সরকারি অফিস। বিয়ের যাবতীয় অনুষ্ঠান সারতে হবে দু’ঘণ্টার মধ্যে ৫০-এর মধ্যে অতিথি নিয়ে। দোকান ও রেস্টুরেন্ট সন্ধে ৭.৩০-এর মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে।

এদিকে রাজ্যগুলোতে লকডাউন এবং কনটেইনমেন্টজোন চিহ্নিত করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। রাজ্যকে সেই জায়গাগুলো নির্ধারিত করে দিতে হবে সেখানকার আক্রান্তের উপর নির্ভর করে। যেখানে এক সপ্তাহের বেশি আক্রান্তের সংখ্যা ১০ শতাংশ রয়েছে তার মানে ১০ জনের মধ্যে একজন আক্রান্ত।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)