কেরলে বন্যা: জলবাহী রোগের মহামারীর আশঙ্কায় সরকার, রুখতে সক্রিয় প্রশাসন

কেরলে বন্যাকেরলে বন্যা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কেরলে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এই মুহূর্তে সরকারের মাথাব্যথার একটা বড় কারণ জলবাহী রোগ। প্রায় গোটা রাজ্যটাই জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে। এখনও কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু, সেই জল নামতে শুরু করলে যে জলবাহী রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটবে, তা নিয়ে এক প্রকার নিশ্চিত রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। সেই আশঙ্কা থেকেই আগে থেকে সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে রাজ্য সরকার।

যদিও এখনও পর্যন্ত কেরল প্রশাসনের মূল ফোকাস রয়েছে উদ্ধারকাজ এবং পুনর্বাসনে। জল নামতে শুরু করলে পরিস্থিতি যে অন্য দিকে ঘুরে যাবে সেটাও জানে প্রশাসন। তাই ত্রাণের সঙ্গে সঙ্গে জলবন্দি বিভিন্ন এলাকায় পর্যাপ্ত ওষুধও পাঠানো হচ্ছে। বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে যে লক্ষ লক্ষ মানুষ রয়েছেন, তাদেরকেও দেওয়া হচ্ছে ওষুধ।

কেরলের অর্থমন্ত্রী ই চন্দ্রশেখর সোমবার জানিয়েছেন, উদ্ধার কাজের থেকে এখন অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ত্রাণ এবং পুনর্বাসনের কাজে। জলমগ্ন এলাকা থেকে প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষকে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে। সোমবার রাতের মধ্যেই ১০০ শতাংশ মানুষকেই উদ্ধার করা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেছেন চন্দ্রশেখর।

কেরলে বন্যা: ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়াল গোটা দেশ, বার্সেলোনা-লিভারপুল এফসি-ও

এ দিন রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪১-এ। ৩ হাজার ৭০০ শিবিরে প্রায় ১০ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। কেরলে এ বার সাধারণের চেয়ে প্রায় ১৬৪ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। চন্দ্রশেখর আরও জানিয়েছেন, খুবই সামান্য অংশের মানুষ এখনও কোনও অগম্য জায়গায় আটকে রয়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা, হেলিকপ্টার, এয়ারক্র্যাফ্ট এবং মোটরবোটে করে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে।

এই মুহূর্তে কোনও রোগ যাতেস মহামারীর আকার না নেয়, সে দিকেই নজর প্রশাসনের। বন্যার জল থেকে যে রোগ ছড়াতে পারে এবং সেই রোগ মহামারীর আকার নিতে পারে— রাজ্যের ৩ কোটি ৪০ লাখ নাগরিকের স্বাস্থ্য নিয়ে তাই উদ্বেগে প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতর এ দিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এয়ারক্র্যাফ্টে করে প্রায় ৬০ টন ওষুধ পাঠিয়েছে। চন্দ্রশেখরণ জানিয়েছেন, জল থেকে কী কী রোগ ছড়াতে পারে স্বাস্থ্যকর্মীরা তা নিয়ে সমীক্ষা করেছেন। কোথাও যাতে কোনও রোগের প্রকোপ না দেখা যায়, তা নিয়ে সমস্ত পঞ্চায়েত এবং পুরসভায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা আপৎকালীন ওষুধপত্র রাজ্যের সর্বত্র যাতে পৌঁছয়, সে দিকে নজর রেখেছি।’’