জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রেগে গিয়ে মাকে মেরে খুন করল মুম্বইয়ের এক মডেল। তাঁর নাম লক্ষ্য সিংহ। বছর তেইশের ওই মডেলের বিরুদ্ধে তাঁর মা সুনীতা সিংহকে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ লক্ষ্যকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করালে, বিচারক তাঁকে ৮ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের লোখেন্ডওয়ালার ক্রশ গেট বিল্ডিংয়ে একটি ফ্ল্যাটে ছেলে লক্ষকে নিয়ে থাকতেন বছর পঁয়তাল্লিশের সুনীতা। সঙ্গে লক্ষ্যের বান্ধবী আয়েশপ্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ও থাকতেন। মা ও ছেলে— দু’জনেই মাদকাসক্ত ছিলেন। তবে সুনীতা সিংহের খুনের সঙ্গে আয়েশপ্রিয়ার কোনও সম্পর্ক নেই বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার রাতে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাতে তিন মা-ছেলে এবং আয়েশপ্রিয়া— তিন জনেই মাদক সেবন করেন। এর পর মা সুনীতা গজগজ করতে শুরু করেন। আয়েশপ্রিয়া জানিয়েছেন পুলিশকে, তাঁকে নিয়েই মূসত সুনীতা কথা বলচিলেন। আয়েশপ্রিয়ার ওই বাড়িতে থাকা এবং সংসার খরচ— এই দুই বিষয়ে ছেলের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে নানা বাজে কথা বলেন সুনীতা।
উল্টোডাঙার গৃহবধূ অর্চনা খুনের ঘটনায় রহস্য আরও বাড়ল, মিলল প্রেমিকের দেহ
সেই সময় লক্ষ্য নাকি মাকে থামার জন্য অনেক বার বলেন। সে কথা না শুনে সুনীতা অভিযোগের পর অভিযোগ করতে থাকেন। তখন লক্ষ্য মায়ের মুখ চেপে ধরে। তাতেওই থামেননি সুনীতা। এর পর সুনীতার মাথা দেওয়ালে ঠুকে দেন লক্ষ্য। শুধু তাই নয় মাকে উচিত সাস্তি দিতে তাঁকে বাথরুমে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করেন তিনি। কিন্তু, মাদকাসক্ত সুনীতা সেখানে ঢুকতে চাননি। তখন জোর করে তাঁকে বাথরুমে ঢুকেয়ে সেখানকার বেসিনে মাথা ঠুকে দেন লক্ষ্য। বেসিন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। পাশাপাশি রক্তাক্ত সুনীতা অচৈতন্য হয়ে পড়েন। ওই অবস্থাতেই মাকে বাথরুমে আটকে রেখে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন লক্ষ্য। পর দিন সকালে দরজা খুলতে দেখা যায়, বাথরুমের ভিতর নিথর হয়ে পড়ে রয়েছেন সুনীতা। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার সময় বাড়িতে দুই পরিচারিকাও ছিলেন। পুলিশ চার জনকেই আটক করে প্রথামিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর লক্ষকে গ্রেফতার করে। দুই পরিচারিকা এবং আয়েশপ্রিয়া যদিও লক্ষ্যকে তাঁর কাজের জন্য দোষী ঠাওরাচ্ছেন। পুলিশের কাছে তাঁরা লক্ষ্যের শাস্তি দাবি করেছেন।
লক্ষ্য মায়ের মুখ চেপে ধরে। তাতেওই থামেননি সুনীতা। এর পর সুনীতার মাথা দেওয়ালে ঠুকে দেন লক্ষ্য। শুধু তাই নয় মাকে উচিত সাস্তি দিতে তাঁকে বাথরুমে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করেন তিনি। কিন্তু, মাদকাসক্ত সুনীতা সেখানে ঢুকতে চাননি। তখন জোর করে তাঁকে বাথরুমে ঢুকেয়ে সেখানকার বেসিনে মাথা ঠুকে দেন লক্ষ্য। বেসিন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। পাশাপাশি রক্তাক্ত সুনীতা অচৈতন্য হয়ে পড়েন।