বিমান থেকে পড়ে গেলেন বিমানসেবিকা, গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি

AIR INDIA

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিমান থেকে পড়ে গেলেন বিমানসেবিকা, জখম হলেন গুরুতর ভাবে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আইসিইউতে ভর্তি করে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা  করা হচ্ছে। তবে, হর্ষ লোবো নামে ৫৩ বছরের ওই বিমানসেবিকার শারীরিক অবস্থা এখনও স্থিতিশীল নয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকালে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দর থেকে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-৮৬৪ বোয়িং ৭৭৭ বিমানটির। সব যাত্রী উঠে যাওয়ার পর বিমানের দরজা বন্ধ করছিলেন হর্ষ। সেই সময় কোনও ভাবে তিনি পড়ে যান। প্রায় ৩০ ফুট উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ার ফলে গুরুতর ভাবে জখম হন তিনি। তাঁর দু’পায়ে ভীষণ চোট লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করা মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করে নেওয়া হয়। গঠন করা হয় বিশেষ মেডিক্যাল টিম।

এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে একটি বিবৃতি পেশ করে জানানো হয়েছ, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কী ভাবে হর্ষ পড়ে গেলেন, তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলেও জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব ওই সংস্থা। ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘দুর্ভাগ্যজনক একটি ঘটনায় হর্ষ লোবো নামে আমাদের এক জন কেবিন ক্রু বোয়িং ৭৭৭ এয়ারক্রাফ্ট থেকে দরজা বন্ধ হওয়ার সময় টারম্যাকে পড়ে গিয়েছেন। তাঁর দু’পায়ে বড় ধরনের চোট লেগেছে। হ্রষকে নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

শোভাবাজার রাজবাড়ি দিয়েই শুরু হোক পুজোর হুল্লোড়, বনেদি হোক এ বারের উৎসব

বছর তিনেক আগে এই ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দরেই এয়ার ইন্ডিয়ার এক ইঞ্জিনিয়ারের মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছিল। হঠাৎ করে চালু হওয়া বিমানের ইঞ্জিন টেনে নিয়েছি‌ল ওই ইঞঢ্জিনিয়ারকে। তার ফলে মৃত্যু হয়ে ওই ইঞ্জিনিয়ারের। পরে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছিল, ভুল সিগন্যালে বিমানটির পাইলট নির্ধারিত সময়ের আগেই বিমানের ইঞ্জিন চালু করে দিয়েছিলেন। আর সে কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল।

তবে হর্ষের ক্ষেত্রে কী ভাবে তিনি পড়ে গেলেন, তা এখ‌নও স্পষ্ট নয়। যে সিঁড়ি দিয়ে যাত্রীরা বিমানে ওঠেন, বিমানের দরজা বন্ধ হওয়ার আগে সেটি সরিয়ে নেওয়ার কথা নয়। আর সেই সিঁড়ি যদি নিজের জায়গায় থাকবে, তা হলে বিমান থেকে টারম্যাকে পড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তবে, কি সেই সিঁড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল? এখনও স্পষ্ট কোনও জবাব মেলেনি। সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে ওই উড়ান সংস্থার তরফে।