National Herald Case-এ ইডি দফতরে হাজির রাহুল-প্রিয়ঙ্কা

National Herald Case

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: National Herald Case-এ সাক্ষী দিতে বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদরাকে সঙ্গে করেই সোমবার এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের অফিসে পৌঁছয় রাহুল গান্ধী। তিন ঘণ্টা জেরার পর তিনি ইডির অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ সেখানে পৌঁছন রাহুল। প্রিয়ঙ্কাকে ডাকা না হলেও তিনি দাদার পাশে দাঁড়াতেই সেখানে হাজির হয়েছিলেন। বাড়ি থেকে ইডি অফিস একই গাড়িতে পৌঁছন তাঁরা। এদিকে কোভিড আক্রান্ত সনিয়া গান্ধী বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

প্রাথমিকভাবে রহুল গান্ধীকে ৮ জুন ইডি-র অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় তিনি বিদেশে ছিলেন। সে কারণে চিঠি লিখে কিছুটা সময় চেয়ে নেন তিনি। রাহুলের অনুরোধ রেকে নতুন দন ধার্য করা হয় ১৩ জুন। সেই মতো এদিন হাজিরা দেন রাহুল। রাহুলকে ইডির তলব নিয়ে দেশ জুড়ে ছোটখাট বিক্ষোভও দেখা দেয়। এদিন ইডির দফতরের সামনেও বিক্ষোভ দেখান সমর্থকরা। তঁদের কাছে ছিল পোস্টার। যেখানে লেখা ছিল ‘‘ঝুঁকেগা নেহি’’। বিখ্যাত ‘পুষ্পা’ সিনেমার বিখ্যাত সংলাপ।

গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগটা আসলে কী?

National Herald Case

২০১১ সালে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কাছ থেকে তিনটি সংবাদপত্র কেনে ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থা। যে সংস্থা আসলে রাহুল গান্ধী ও সনিয়া গান্ধীর মালিকানাধীন। অ্যাসোসিয়েট জার্নালসের অধিনে ছিল ন্যাশনাল হেরাল্ড, কোয়াম ই-আওয়াজ ও নবজীবন নামে তিনটি সংবাদপত্র। এর অভিযোগ ওঠে সঠিক পথে এই অধিগ্রহন হয়নি। যেখানে এই পুরো সম্পত্তির মূল্য হওয়ার কথা কোটি কোটি টাকার সেখানে গান্ধীরা তা মাত্র ৫০ লাখের বিনিময়ে কিনে নেয়।

প্রথম অভিযোগ ওঠে ২০১২-তে। সেই সময় এতটা তৎপড়তা দেখায়নি ইডি। ২০১৪-তে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর নতুন করে বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু হয়। ২০১৫-তে আগাম জামিনও নিয়ে নেয় রাহুল ও সনিয়া। এই বছর আবার নতুন করে এই মামলা সামনে চলে আসে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে ইঋইর জেরার মুখে পড়তে হওয়ায় উঠে আসে রাহুল গান্ধী সনিয়া গান্ধীর নাম। ডেগে পাঠানো হয় তাঁদের।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle