জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সি.১.২ ভাইরাস কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট আগেরগুলোর থেকে অনেকবেশি সংক্রামক বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। যা এস-কোভ-২-এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট। এই ভ্যারিয়েন্ট ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু দেশে পাওয়া গিয়েছে এই ভাইরাস। একটি স্টাডি বলছে, কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছেই কারণ এই ভাইরাস অনেকবেসি সংক্রামক। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজ এবং কুয়াজুলু-নাতাল রিসার্চ ইনোভেশন অ্যান্ড সিকোয়েন্সিং প্ল্যাটফর্মে দক্ষিণ আফ্রিকায় জানিয়েছে, সি.১.২ প্রথম দেখা যায় এই দেশে এই বছর মে মাসে।
বিশেষজ্ঞদের মতে এই ভাইরাসও পাওয়া গিয়েছে চিনে। এর সঙ্গে কঙ্গো, মরিশাস, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল ও সুইজারল্যান্ডে এই বাইরাসের দেখা মিলেছে। এটা ১৩ অগস্ট পর্যন্ত হিসেব বলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাইরাস চিন্তার। কারণ দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশে প্রতিমাসে এই ভাইরাসে আক্রান্তে সংখ্যা বাড়ছে। মে মাসে ০.২ শতাংশ থেকে বেড়ে জুনে তাঁ দাঁড়িয়েছে ১.৬ শতাংশ। এর পর জুলাইতে তা পৌঁছয় ২ শতাংশে।
এই স্টাডির লেখক জানিয়েছেন, প্রথমে যখন কোভিড ধরা পড়েছিল তখন যেভাবে বিটা ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সে দেশে বাড়ছিল এটাও সেই পথেই এগোচ্ছে। সি.১.২-এর মিউটেশন রেট প্রতি বছরে ৪১.৮। যা অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের বিশ্ব জুড়ে মিউটেশন রেটের দ্বিগুণ। এবং চরিত্র বদলাতে বদলাতে একদমই আলাদা রূপ ধারণ করতে সক্ষণ এই ভাইরাস। যে আসল ভাইরাস চিনের উহানে ২০১৯-এ পাওয়া গিয়েছে এটা তার থেকে একদমই আলাদা।
ভাইরোলজিস্ট উপাসনা রায় পিটিআইকে বলেন, ‘‘এটা অনেকবেশি সংক্রামক ও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশ্ব জুড়ে এই ভাইরাস ভ্যাকসিনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম। এই পরিস্থিতিতে এর থেকে রক্ষা পেতে বা সংক্রমণ আটকাতে কোভিড-১৯-এর যে যে বিধি নিষেধ রয়েছে তা ভীষনভাবে মানতে হবে।’’ ভারতকে ইতিমধ্যেই সাবধান করা হয়েছে। এই ভাইরাস ভারতে এখনও দেখা না গেলেও কোভিড বিধি শিথিল হওয়ার ফলে যে কোনও সময় তা ঢুকে পড়তে পারে দেশে। এখনও দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি দেশ। তার মধ্যে রয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকূটি। তার মধ্যে অতি সংক্রামক এই ভাইরাস ঢুকে পড়লে বিপদ আরও বাড়বে।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)