জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: North East Flood পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়ঙ্কর আকাড় নিচ্ছে। অসমে বন্যা পরিস্থিতি অনেকদিন আগেই তৈরি হয়েছিল। এবার একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মণিপুর, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের মতো পাহাড়ি রাজ্যগুলোতে। প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ৬ নম্বর জাতীয় সরকের বিস্তির্ণ অংশ। জানা যাচ্ছে মেঘালয়ের লমসং এলাকায় এই পরিমাণ ধস নেমেছে যে ধসে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে স্থানীয় পুলিশ থানা। সরকপথে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সবাইকে ওই পথে যেতেও বারণ করা হয়েছে। দ্রুত ধস সরয়ে রাস্তায় সারাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে ঠিকই কিন্তু মাঝে মাঝেই বৃষ্টির জন্য তা ব্যহত হচ্ছে।
আপাতত পুলিশি তৎপড়তায় সামান্য কিছু যানবাহনকে ছাড়া হচ্ছে। এই রাস্তা গোটা দেশের সঙ্গে জুড়ে রেখেছে দক্ষিণ অসম, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও মণিপুরের একটা অংশকে। যার ফলে গোটা দেশের সঙ্গে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এই অংশগুলো। প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে মেঘালয়ও। ধসের ফলে গৃহহীন হয়েছে প্রচুর মানুষ।
আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় বুধবার সকাল ৮.৩০ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৮১১.৬ মিলিমিটার। ১৯৯৫-এর জুনের পর এত ভারী বৃষ্টি এই এলাকায় হয়নি। কিছুদিন আগেই অসমের হাফলংয়ের বিধ্বংসী বন্যার ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। এবার বানভাসি গুয়াহাটি। এখনও পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বন্যা ও ভূমিধসে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে বৃষ্টি চলছে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিস্তির্ণ এলাকায়। তার মধ্যে রয়েছে সিকিম ও উত্তরবঙ্গও। বুধবার সিকিমে প্রবল বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় ধস নামার ঘটনা ঘটে। যার ফলে ১০ নম্বর জাতীয় সরক বন্ধ হয়ে যায়। বাকি দুনিয়ার সঙ্গে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সিকিম। আটকে পড়েন পর্যটকরা। একই পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায়ও।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google