জম্মু-কাশ্মীর, ছ’মাস ধরে কার্যত ছুটি কাটাচ্ছেন ৮০ জন হাইপ্রোফাইল কমান্ডো

জম্মু-কাশ্মীরএনএসজির টুইটার পেজ থেকে

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর ,  ৮০ জন এলিট ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডকে ছ’মাস ধরে ফেলে রাখা হয়েছে সেখানে। এ বার তাঁরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছেন। রাজনৈতিক ও আতঙ্কবাদের মধ্যে থাকা একটা রাজ্যে তাঁদের কাজ কী? গত একমাস ধরে এই দলটি কোনও অপারেশনে অংশ নেয়নি। যাঁদের কাজ শুধু প্যারামিলিটারি ফোস৪ আর রাজ্য পুলিশের সঙ্গে ট্রেনিং করাতেই সীমাবদ্ধ রয়ে গিয়েছে।

সূত্রের খবর এনএসজি-র এই কমান্ডোদের কাশ্মীর ভ্যালিতে পাঠানো হয়েছিলগত মে মাসে। জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অজিত দোভালের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই সিকিউরিটি ফোর্সের মধ্যে লোক কমে আসছিল। এ ছাড়াও লক্ষ্য ছিলকঠিন পরিস্থিতিতে যাতে কমান্ডোদের সাহায্য পাওয়া যায় ওখানে।

নিয়ম মাথায় রেখেই পুরো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এতে কোনও ভূমিকাই ছিল না। এই মাসের শুরুতে ডিরেক্টর জেনারেল সুদীপ লাখতাকিয়া কাশ্মীর ভ্যালিতে রাজ্যপাল সত্য পাল মালিক ও রাজ্য পুলিশে চিফ দিলবাগ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন।

কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন মোদী সরকারের এক মন্ত্রী

এনএসজি চিফ এনডি টিভিকে জানিয়েছেন, ‘‘রাজ্যের অবস্থার কথা ভেবে এই ফোর্সকে এখানে পাঠানো হয়েছিল যাতে যে কোনও অপারেশনে তাদের ব্যবহার করা যেতে পারে। এবং এটা রাজ্যের অনুরোধেই করা হয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল, উগ্রপন্থী আক্রমণের সময় যাতে রাজ্যের উপর দায়িত্বভার পুরোটা না পরে।’’

বর্তমানে হফ ডজন ফোর্স শ্রীনগরে রয়েছে।  প্রতিটি অঞ্চলের জন্য আলাদা আলাদা দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এনসজির একটি সূত্র বলছে,‘‘আমাদের জন্য কোনও নির্দিষ্ট গাইড লাইন নেই। যার ফলে আমরা শুধু হামহামা ক্যাম্পাসে গত ছ’মাস ধরে শিবির করে বসে আছি।’’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক সিনিয়র অফিশিয়াল জানান, ‘‘ওখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দল রয়েছে। নতুন করে এখনই কিছু দরকার নেই।’’

এর মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই এই ৮০ জনকে আর কতদিন এ ভাবে ফেলে রাখা হবে? কাজের নামে তাঁদের ছুটি কাটাতে বাধ্য করা হচ্ছে। যাতে তারাও বিরক্ত। গত ছ’মাস ধরে বিএসএফ ক্যাম্পাসে রীতিমতো বন্দী দশা এনএসজির কমান্ডোদের। এর পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কী সিদ্ধান্ত নেবে তার অপেক্ষাই করতে হবে এই ৮০ জনকে।