দেশে নাশকতার ছক ভেস্তে দিল দিল্লি পুলিশ, গ্রেফতার ৬ জঙ্গি

দেশে নাশকতার ছক

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দেশে নাশকতার ছক নিয়েই ভারতে ঢুকেছিল জঙ্গিদের দলটি। লক্ষ্য ছিল উৎসবের মরসুম। কিন্তু তার আগেই দি‌ল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের হাতে ধরা পড়ে গেল ৬ জঙ্গি। তাদের মধ্যে দু’জন সম্পর্কে জানা যাচ্ছে তারা পাকিস্তান থেকে বিশেষ ট্রেনিং নিয়ে এসেছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক ছড়ান এবং উৎসবের আবহে হামলা করা। মঙ্গলবার দিল্লির পাশাপাশি রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশেও অপারেশন চালানো হয়। আগেই  সতর্কবার্তা ছিল। তার উপর ভিত্তি করেই খোঁজ শুরু হয়। যাতে সাফল্য এল দিল্লি পুলিশের।

স্পেশাল সেলের সিনিয়র অফিসার নীরজ ঠাকুর এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, ‘‘সকালে তদন্তের সময় মহারাষ্ট্রের এক আতঙ্কবাদীকে রাজস্থানের কোটা থেকে গ্রেফতার হয়। ৩ জনকে উত্তরপ্রদেশ সন্ত্রাস দমন শাখার (এটিএস) সাহায্যে ধরা হয় এবং বাকি ২ জনকে দিল্লি থেকেই ধরা হয়।’’ তাদের কাছ থেকে দুটো হ্যান্ড গ্রেনেড, দুটো আইডি, এক কিলোগ্রাম আরডিএক্স এবং একটি ইতালিয়ান পিস্তল উদ্ধার হয়েছে।

গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের নাম, মুম্বইয়ের জান মহম্মদ শেখ (৪৭), দিল্লির ওসামা (২২)। রায়বরেলির মুলচাঁদ (৪৭), প্রয়াগরাজের জিশান কামার (২৮), বাহরিচের মহম্মদ আবু বাকর (২৩) এবং লখনউয়ের মহম্মদ আমির জাভেদ (৩১)। তার মধ্যে ওসামা ও কামার মাসকট গিয়েছিল। সেখান থেকে তাদের নৌকায় করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। নীরজ ঠাকুর জানান, ‘‘পাকিস্তানে তাদের একটি ফার্মহাউসে রাখা হয়েছিল ১৫ দিনের জন্য যেখানে তাদের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।’’

পুলিশের প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, ‘‘কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিশ্বস্ত সূত্রের তরফে দিল্লি পুল‌িশের বিশেষ সেলের কাছে খবর ছিল পাকিস্তানের নেতৃত্বাধীন একটি দল ভারতে ধারাবাহিক আইডি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করছে। এর জন্য বর্ডার থেকে তারা আইডি সংগ্রহ করেছে। এবং তারা তাদের পরিকল্পনার শেষ ধাপে রয়েছে। তার পরই সার্চ অপারেশন শুরু হয় মুম্বই, লখনউ, প্রয়াগরাজ, রায়বরেলি ও প্রতাপগড়ে।

পুলিশের রিলিজে আরও জানানো হয়েছে, জেরা করে জানা গিয়েছে, এদের কাছে সব উচ্চমানের সরঞ্জাম ছিল। সেরা আরডিএক্সের তৈরি আইডি, গ্রেনেড, পিস্তল এবং কার্টিরেজ। যা উত্তরপ্রদেশে সযত্নে রাখার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তাদের কাছে আগ্নোস্ত্রসহ যে বিস্ফোরক এবং হামলার খরচ পাঠানো হত হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে। পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা দুই আতঙ্কবাদী ওসামা ও কামারের উপর দায়িত্ব ছিল জায়গা চিহ্নিত করে সেখানে আইডি বসানোর।

দেশ জুড়ে উৎসবের দামামা বেজে গিয়েছে। সদ্য শেষ হয়েছে গনেশ চতুর্থী। কোভিডের কারণে সব উৎসবের রঙই এখন ফিকে কিন্তু তা হচ্ছে না এমনটাও নয়। আর তাতে মানুষ অংশও নিচ্ছে। সেই অবস্থায় সামনে আরও উৎসব রয়েছে। দুর্গাপুজো, দশেরা, দিওয়ালির মতো উৎসবই ছিল এই আতঙ্কবাদীদের মূল লক্ষ্য। যা আপাতত ভেস্তে দেওয়া গিয়েছে। তবে এদের আরও কোনও সঙ্গী ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)