জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পাক বিমান হঠাৎই ঢুকে পড়ল ভারতের আকাশ সীমায়। রবিবার জম্মু-কাশ্মীরের ঘটনা। সেনার তরফে ওই বিমানকে গুলি করেও নামানোর চেষ্টা করা হয়। কাশ্মীর সীমান্তে বার বার শান্তি চুক্তি করেও ভাঙতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানকে। কিন্তু এ ভাবে আকাশ পথে নিয়ম অতীতে ভাঙেনি প্রতিবেশি দেশ।
নিয়ম অনুযায়ী ভারত ও পাকিস্তানের কপ্টার লাইন অব কন্ট্রোলের এক কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকে পারবে না। এ ছাড়া বাকি ফিক্সড-উইং এয়ারক্র্যাফট ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকতে পারবে না। কিন্তু এ দিন এই নিয়মই ভেঙে ফেলল পাকিস্তান।
একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সাদা রঙের পাকিস্তানি এক কপ্টার পুঞ্চের পাহাড়ের উপর উড়ছে। সঙ্গে টানা শোনা যাচ্ছে গুলির শব্দ। তাতেই বোঝা যাচ্ছে সেনাবাহিনীর তরফে সেই কপ্টারকে গুলি করে নামানোর চেষ্টা করছে। যেখানের ঘটনা সেখানকার স্থানীয় মানুষের বয়ানেও এমনটাই উঠে এসেছে।
সূত্রের খবর দুপুর ১২.১৩ মিনিট নাগাদ পাকিস্তানের ওই বিমানকে ভারতীয় আকাশ সীমায় দেখতে পাওয়া যায়। মনে করা হচ্ছে বিমানটি সিভিল এয়ারক্র্যাফট ছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে আক্রমণ হতেই বিমানটি নিজের এলাকায় ফিরে যায়। যদিও বিমানটিকে নামানোর জন্য বড় কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। ছোট অস্ত্র দিয়েই আক্রমণ করা হয়।
টপলেস সেরেনা টেনিস কোর্টের বাইরেও এক অন্য অনুভূতি দিয়ে গেলেন
গত ফেব্রুয়ারিতে এলওসি-র ৩০০ মিটারের মধ্যে উড়তে দেখা গিয়েছিল পাকিস্তানি কপ্টারকে। কিন্তু আজকের ঘটনা এয়ার স্পেসের নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে। এটা এখনও নিশ্চিত নয় কপ্টারটি ভুল করে ভারতের সমায় ঢুকে পড়েছিল নাকি কোনও উদ্দেশ ছিল।
এনডি টিভিকে দেওয় এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন মেজর জেনারেল অশ্বিনী সিওয়াচ বলেন, ‘‘এটা জানা খুব দরকার ভারতের সীমার কতটা ভিতর পর্যন্ত পৌঁছেছিল বিমানটি। এবং কতক্ষণ ছিল। তার পরই একটা ধারণা করা যাব উদ্দেশ্য কী ছিল।’’ তিনি এর সঙ্গে জুড়ে দেন, ‘‘বিমান চালক ভুল করেও চলে আসতে পারে নেভিগেশন সমস্যার জন্য। ছোট কপ্টারের ক্ষেত্রে নেভিগেশন ম্যানুয়ালি করা হয়। ল্যান্ডমার্ক দেখে সীমা নির্ধারিত করা হয়।’’
যার ফলে মনে করা হচ্ছে ভুল বশতই কপ্টারটি ভারতরে সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছিল। যদিও নাশকতার বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। হতে পারে পাক সেনার তরফে কোনও নতুন আক্রমণের ছক তৈরি করতেই এই বিমানকে পাঠানো হয়েছিল। সব কিছু মাথায় রেখেই বিষয়টি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে সেনা।