পেগাসাস: আড়ি পাতা হয়েছিল অভিষেক ও পিকে-র ফোনেও

পেগাসাস

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পেগাসাস: আড়ি পাতা হয়েছিল তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের ফোনেও। সোমবার এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যার।

রবিবার সামনে এসেছে ফোনে আড়ি পাতা বিতর্ক। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতে তিনশোরও বেশি ফোনে নরেন্দ্র মোদীর সরকার আড়ি পাতার চেষ্টা চালিয়েছিল বলে পেগাসাস প্রোজেক্ট নামে একটি তদন্ত রিপোর্টে দাবি। ভারত-সহ ১৬টি দেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা মিলে এই তদন্ত চালিয়েছেন। তবে সরকারের দাবি, নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের উপরে সরকারি নজরদারির অভিযোগ ভিত্তিহীন। যে কোনও ফোনে আড়ি পাতা, হোয়াটসঅ্যাপে নজরদারিতে সরকারি অনুমতি থাকে। আইন মেনেই ফোনে আড়ি পাতা হয়।

প্রথমে জানা যায়, ওই তালিকায় রয়েছে মোদী সরকারের দুই মন্ত্রী, বিরোধী শিবিরের তিন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছাড়াও সাংবিধানিক পদে আসীন এক ব্যক্তির নাম। সেই সঙ্গে ৪০ জনের বেশি সাংবাদিক অনেক ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি রয়েছেন। অনেক সমাজকর্মী থেকে সরকারি আমলা ও আইনজীবীর ফোনেও আড়িপাতার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার নতুন করে জানা গেল, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনেও আড়ি পাতা হয়। শুধু তাই নয়, আড়ি পাতা হয় ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের ফোনেও। দ্য ওয়্যারের দাবি, অভিষেকের ব্যক্তিগত সচিবের ফোনেও আড়ি পাতা হয়।

এর পরেই সোমবার রাতে টুইটারে অমিত শাহ-কে আক্রমণ করেন অভিষেক। তিনি লেখেন, ‘হেরোদের জন্য দু’মিনিটের নিরবতা। ইডি, সিবিআই, এনআইএ, আইটি, নির্বাচন কমিশন ছাড়াও টাকা অর্থ এবং শক্তি নিয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছিল বিজেপি। সঙ্গে ছিল পেগাসাসের গুপ্তচরবৃত্তি। তারপরেও বাংলার নির্বাচনে মুখ রক্ষা করতে পারলেন না অমিত শাহ। দয়া করে আরও বেশি ক্ষমতা নিয়ে ২০২৪ সালে আসবেন।’

ইজরায়েলি একটি সংস্থা যে সব দেশকে পেগাসাস বেচেছিল, তাদের তথ্যভাণ্ডার থেকেই প্রায় ৫০ হাজার ফোন নম্বর ফাঁস হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই এ দেশের ৩০০-র বেশি নম্বর রয়েছে। প্যারিসের অলাভজনক সংবাদ সংস্থা ‘ফরবিডেন স্টোরিজ’ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই তথ্যভাণ্ডার হাতে পেয়ে বিভিন্ন দেশের ১৬টি সংবাদমাধ্যমের হাতে তুলে দেয়। ভারতে ‘দ্য ওয়্যার’ নামের পোর্টাল এই তথ্যভাণ্ডার হাতে পেয়েছিল। এই ১৬টি সংবাদমাধ্যম মিলে ‘পেগাসাস প্রোজেক্ট’ নামের তদন্ত শুরু করে। ওই তালিকায় থাকা ফোনে ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হয়। ৩৭টি ফোনে পেগাসাস স্পাইওয়্যার থাকার স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। এই ৩৭টি ফোনের মধ্যে ১০টি-ই এ দেশের।


প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)