জিনোম সিকোয়েন্স, এই মন্ত্রেই করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে চান মোদী

জিনোম সিকোয়েন্স

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: জিনোম সিকোয়েন্স, এই মন্ত্রেই করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার তিনি একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই ওই বৈঠক। পাশাপাশি অতিমারি ঠেকাতে টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়েও খোঁজখবর নিয়েছেন মোদী। বৈঠকে উঠে আসে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দেশে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার প্রসঙ্গও।

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা রুখতে দেশের এই মুহূর্তের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন মন্ত্রকের কর্তারা। আগামী কয়েক মাসে করোনার টিকার উৎপাদন, সরবরাহ এবং বণ্টন ব্যবস্থা নিয়েও মোদী পর্যালোচনা করেছেন বলে ওই সূত্রের দাবি। কন্সেনট্রেটর, সিলিন্ডার এবং পিএসএ প্ল্যান্ট-সহ অক্সিজেনের জোগান যাতে বাড়ানো হয়, তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনাভাইরাসের দ্রুত রূপ বদল হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য প্রতি নিয়ত জিনোম সিকোয়েন্স দেখার প্রয়োজন।’’

গত কয়েক মাসে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। অক্সিজেন সরবরাহের বাহকের সংখ্যা প্রায় ১০০ বেড়ে এখন ১২৫০। বৃহস্পতিবার স্থাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, দেশের মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। অন্তত ১৮ শতাংশের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। মোট ৭২ কোটিরও বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণের কাজে নিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের অন্যত্র না সরানোর বিষয়টি কেন্দ্র নিশ্চিত করতে চায় বলে সরকারি সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, কোনও অবস্থাতেই টিকাকরণের গতি শ্লথ হতে দেওয়া যাবে না বলে এ দিনের বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানান, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ এখনও শেষ হয়নি। তাঁর দাবি, বর্তমানে দেশের ৩০টি জেলায় সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ৫ থেকে ১০ শতাংশ। ৩৫টি জেলায় সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের সামান্য বেশি। কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি চিন্তায় রেখেছে কেন্দ্রকে। যদি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ হয়, তা হলে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বাড়তে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীদের অনেকে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট’-এর বিশেষজ্ঞ দল অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, অ্যাম্বুল্যান্স, চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী-সহ পুরো পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখার রূপরেখা তৈরি করেছে। শিশুদের চিকিৎসায় বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিতে বলেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে এ বিষয়েও খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)