স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী: ৭০ বছরে যা হয়নি, ৭০ দিনে তা করে দেখিয়েছে এই সরকার

স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীস্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বক্তৃতা শোনালেন লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে। সেই বক্তৃতায় তিনি জানিয়ে দিলেন, দেশের তিন সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সরকারের মসৃণ সমন্বয়ের জন্য একটি বিশেষ পদ তৈরি করা হচ্ছে— চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ। একই সঙ্গে জানালেন, দ্বিতীয় দফায় তাঁর সরকারের প্রারম্ভিক বড় সাফল্য সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ। পাশাপাশি এটাও জানাতে ভুললেন না, ৭০ বছরে যা করা সম্ভব হয়নি, ৭০ দিনে তা করে দেখিয়েছে তাঁর সরকার।

বৃহস্পতিবার সকালে লালকেল্লা থেকে ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় মোদী বলেন, ‘‘আধুনিক সময়ে যুদ্ধের নিয়মকানুন বদলাচ্ছে। আমাদের তিন বাহিনীকে একসঙ্গে এগোতে হবে। তিন বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় প্রয়োজন।’’ সে কারণেই তিনি চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ পদ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান। চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন। একইসঙ্গে তাঁকে করে নেওয়া হবে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির সদস্যও।

এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন…

একই সঙ্গে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেন, গত ৭০ বছরে যা করা সম্ভব হয়নি, সেটাই গত ৭০ দিনে করে দেখিয়েছেন তিনি এবং তাঁর সরকার। বাস্তব হয়েছে এক দেশ এক সংবিধানের স্বপ্ন। কাশ্মীর যে শুধুই রাজনীতির শিকার নয়, সে কথাও এ দিন স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মোদী। তাঁর মতে পরিবারতন্ত্র, স্বজনপোষণ, সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদের তিরে বিদ্ধ কাশ্মীর। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ যে তাঁর একটা বড় সাফল্য তা মনে করিয়ে দিতেই মোদী বলেন, ‘‘৭০ বছরে যা হয়নি, ৭০ দিনেই সেই কাজ করেছে দ্বিতীয় মোদী সরকার।’’

মোদী আরও বলেন, ‘‘৭০ বছর ধরে প্রায় সব সরকার কাশ্মীরের জন্য কিছু না কিছু চেষ্টা করেছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পরিণামে পৌঁছতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে ভাবতে হয়। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের নাগরিকদের আশাআকাঙ্ক্ষা পূরণের দায়িত্ব আমাদের সকলের। সেই দায়িত্ব পালনে অনেক বাধা এসেছে, আমরা সেগুলো দূর করার চেষ্টা করেছি।’’

তিন তালাক বিলও এ বার পাশ করিয়েছে মোদী সরকার। স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর বক্তৃতায় সে প্রসঙ্গও তোললেন। তিনি বলেন, ‘‘বহু সংখ্যালঘু দেশ ইতিমধ্যেই ওই প্রথা রদ করেছে। আমাদের দেশেও অতীতে সতীদাহ, বাল্যবিবাহ রদ হয়েছে। পণপ্রথার বিরুদ্ধে মানুষ সরব হয়েছে। তা হলে তিন তালাকের বিরুদ্ধে কেন নয়? সেই তিন তালাক প্রথা রদ হওয়ায় আমাদের মুসলিম মা-বোনেরা সুরক্ষিত হয়েছেন।’’

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)