জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: প্রভিডেন্ট ফান্ড বছরে আড়াই লাখ পেরোলেই দুটো অ্যাকাউন্টে ভেঙে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার নতুন আয়কর নির্দেশিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তির প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে যদি বার্ষিক আড়াই লক্ষ টাকার বেশি জমা পড়ে তা হলে সেটি দু’টি অ্যাকাউন্টে ভাগ হয়ে যাবে। অর্থাৎ পিএফে কোনও কর্মীর নিজস্ব অবদান বছরে আড়াই লাখ টাকার সীমা ছাড়ালেই তাঁর অর্জিত সুদ করের আওতায় চলে আসবে। সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি) এই নতুন নিয়ম চালু করার নির্দেশিকা জারি করেছে।
নয়া নির্দেশেকায় এ-ও বলা হয়েছে, এখন যাঁদের এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ওই অ্যাকাউন্ট দু’টি ভাগে ভাঙা হবে। একটি করযোগ্য (ট্যাক্সেবল) এবং অন্য কর বহির্ভূত (নন-ট্যাক্সেবল) অবদান। ২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকে দু’টি অ্যাকাউন্টের সুদ পৃথক ভাবে হিসাব করা হবে বলেও জানিয়েছে সিবিডিটি। পরবর্তী পর্যায়ে কর্মচারীদের দু’টি পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা অঙ্কের সুদকে করযোগ্য এবং কর বহির্ভূত তালিকায় ফেলে পৃথক ভাবে হিসাব করা হবে। ৩১ মার্চ, ২০২১ পর থেকে এই হিসাব কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক নতুন এই নিয়মের কথা ঘোষণা করে গত ৩১ অগস্ট। সঙ্গে সঙ্গেই জানানো হয় আয়কর দফতরকে। আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নিয়ম চালু হবে আগামী ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে। কোনও কর্মী বার্ষিক আড়াই লাখ টাকার বেশি প্রভিডেন্ট ফান্ড-এ জমা দিলে বাকি অংশের উপর কর ধার্য হবে। সে কারণে আয়কর ভিদিতে ৯ডি বলে একটি সেকশন জুড়েছে। কোনও কর্মী নিজের মূল বেতনের ১২ শতাংশ পিএফ অনুদান হিসাবে দেন। নিয়োগকর্তাও সমান অনুদান জমা করেন তাঁর হয়ে।
অন্য দিকে, সেপ্টেম্বর থেকেই চালু হতে চলেছে নতুন নিয়ম। ইউএএন (ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর)-এর সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক না করালে নিয়োগকারীর টাকা ঢুকবে না প্রভিডেন্ট ফান্ড-এ। সম্প্রতি পিএফ সদস্যদের সুবিধার্থে নতুন নিয়ম এনেছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও)। সোশ্যাল সিকিউরিটি কোড ১৪২-এ পরিবর্তন করা হয়েছে। কর্মীদের সুবিধার জন্যই এই কাজ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)