পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা: নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত মূল চক্রী মুদাসির

পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলাযৌথ সাংবাদিক সম্মেলন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা হয়েছিল গত ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার প্রায় এক মাস পর দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হল পুলওয়ামা কাণ্ডের অন্যতম চক্রী মুদাসির খান।

রবিবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) দাবি করে, পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা-র ঘটনায় ত্রালের পিংলিশ এলাকার বাসিন্দা মুদাসির খানের হাত রয়েছে। একইসঙ্গে ওই সংস্থা জানায়, পুলওয়ামার ঘটনার আগে আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল দার মুদাসিরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। এবং এই মুদাসিরই পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা-র ঘটনার অন্যতম চক্রী।

ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, পিংলিশে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে রবিবার রাতে গোপন সূত্রে তারা খবর পায়। এর পরেই নিরাপত্তা বাহিনী অভিযানে নামে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুই জঙ্গি মারা যায়। তাদের মধ্যে এক জন মুদাসির। তার পরিবার দেহ শনাক্ত করেছে। কিন্তু, অন্য জনের পরিচয় সোমবার রাত পর্যন্ত জানা যায়নি।

এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন সেনা বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে জে এস ধীলোঁ, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আইজি এসপি পানি, সিআরপিএফের আইজি (অপারেশন) জুলফিকার হাসান। এসপি পানি জানান, মুদাসির পুলওয়ামা হামলার মূল চক্রী ছিল। সমস্ত জঙ্গি নিকেশ না করা পর্যন্ত এই তল্লাশি অভিযান চলবে। পুলওয়ামা হামলা থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও সতর্ক হয়েছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। জইশকে নির্মূল করাই এখন লক্ষ্য নিরাপত্তা বাহিনীর। কে জে এস ধীলোঁ জানান, সোমবার পর্যন্ত এ বছরে সব মিলিয়ে মোট ৪৪ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, মুদাসিরের বয়স বছর তেইশ হবে। সে আইটিআই থেকে ইলেকট্রিশিয়ানের কোর্স করে। ২০১৭-য় যোগ দেয় জইশ-ই-মহম্মদ-এ। সেনার দাবি, মুদাসিরের মৃত্যু জইশের জন্য একটা বড় ধাক্কা।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

জম্মু-কাশ্মীরে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই হবে লোকসভা নির্বাচন। রবিবার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কমিশনের সেই ঘোষণাকে এ দিন প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আবদুল্লা। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘লোকসভা নির্বাচন সম্ভব হলে, বিধানসভা কেন নয়?’’ ফারুকের আশঙ্কা, কাশ্মীর নিয়ে সরকারের কোনও পরিকল্পনা রয়েছে।

তবে কেন্দ্রের যুক্তি লোকসভার পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচন হলে সে ক্ষেত্রে আরও বেশি সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী ভোটের কাজে নিয়োগ করতে হবে। তাতে জঙ্গি দমন অভিযানে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই দু’টি ভোট একসঙ্গে করার সিদ্ধান্ত সমর্থন করেনি কেন্দ্র।

জম্মুতে জঙ্গি হামলা, বাসস্ট্যান্ডে গ্রেনেড বিস্ফোরণে মৃত ১, আহত ৩২