রাফাল চুক্তির ফাইল চুরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকেই, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

রাফাল চুক্তির ফাইল চুরিরাফাল

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রাফাল চুক্তির ফাইল চুরি গিয়েছে। ওই ফাইল থাকার কথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে। সেখান থেকেই রাফাল চুক্তির ফাইল খোয়া গিয়েছে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে এ কথাই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দফতর নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে। ওই ব্লকেই প্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশ মন্ত্রকের দফতর। নিরাপত্তায় মোড়া এমন জায়গা থেকে কী ভাবে উধাও হয়ে যেতে পারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাফাল চুক্তির ফাইল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরাও।

তবে সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে সরকার পক্ষের এমন দাবিতে ফের হাতে অস্ত্র পেয়ে গেল বিরোধীরা। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ফ্রান্সের সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ওই চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মাঠে নামেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। রাফাল কাণ্ডে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে তাঁর বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে স্লোগান তুলেছেন ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’। কারণ প্রধানমন্ত্রী নিজেকে দেশের ‘চৌকিদার’ বলে বিভিন্ন জনসভায় দাবি করেন।

শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণে তদন্তের দাবিতে এর আগে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলায় গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর কেন্দ্রকে ক্লিনচিট দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মামলাকারীদের সব ক’টি আর্জিই খারিজ হয়ে যায়। এর পর রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে ফের মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাতেই বুধবার নতুন করে শুনানি শুরু হয়েছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের এজলাসে।

এ দিন কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল আদালতে জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দফতর থেকে রাফাল চুক্তির ফাইল চুরি গিয়েছে। সরকারের আশঙ্কা, কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত কোনও কর্মী এই চুরির সঙ্গে যুক্ত আছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে জানিয়েছেন, চুরির ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা এবং অরুণ শৌরি, আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এবং আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং।

এর আগে রাফায়েল মামলার শুনানিতে ক্যাগ রিপোর্টের ভিত্তিতে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বলেছিল, কোনও দুর্নীতি হয়নি। পরে ওই ক্যাগ রিপোর্টের সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে থাকে। এর পরে ওই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই ফের শীর্ষ আদালতে মামলা করা হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, এই চুক্তির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৩০ হাজার কোটি টাকা পাইয়ে দিয়েছেন অনিল অম্বানীকে

রাফাল বিতর্ক: মনোহর পর্রীকরের শোওয়ার ঘরে নথি, অডিও টেপ ফাঁস কংগ্রেসের

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)