জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিমানবন্দরের নিয়ম এ বার রেল স্টেশনে, চালু হচ্ছে নয়া বোর্ডিং টাইম। ট্রেন ছাড়ার নির্দিষ্ট সময আগেই যাত্রীদের পৌঁছতে হবে স্টেশনে। কারণ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া করতে চাইছে রেল মন্ত্রক।
রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (আরপিএফ)-এর ডিজি অরুণ কুমার রবিবার জানিয়েছেন, নতুন ওই নিয়ম অনুযায়ী যাত্রীদের ট্রেন ছাড়ার অন্তত ২০ মিনিট আগে স্টেশনে পৌঁছতে হবে। তার পর স্টেশন চত্বর সিল করে দেওয়া হবে। ওই ট্রেন ধরার জন্য আর কোনও সুযোগ পাবেন যাত্রীরা।
অরুণ কুমার আরও জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন রেলস্টেশনে বিমানবন্দরের মতো উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে যাত্রীদের র্যান্ডম সিকিউরিটি চেকিং করা হবে। এ জন্য গোটা স্টেশন চত্বর পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। একটা স্টেশনে বিভিন্ন প্রবেশ পথ রাখা হবে। দূরপাল্লার ট্রেন ধরতে যাত্রীদের পৌঁছতে হবে নির্ধারিত ওই ট্রেন ছাড়ার ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে।
নির্দিষ্ট সময়ের পর আর কোনও যাত্রীকে স্টেশন চত্বরে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেই জানিয়েছেন অরুণ কুমার। তাঁর দাবি, ট্রেন ছাড়ার আগের ওই সময়ে যাত্রীদের সিকিউরিটি চেকিং হবে। হবে লাগেজ চেকিংও। অটোম্যাটিক স্ক্যানিং এবং ম্যানুয়াল— দু’ধরনের চেকিং ব্যবস্থাই থাকবে। এ ছাড়া স্টেশন চত্বরে এমন সফটওয়ার থাকবে, যার মাধ্যমে ফেস রেকগনিশন করা যাবে। আরপিএফের খাতায় কোনও অপরাধির নাম-ছবি থাকলে, তাকে ওই সফটওয়ারের মাধ্যমে চিনতে সুবিধা হবে। থাকবে বম্ব ডিটেকশন এবং ডিফিউজালের ব্যবস্থাও। আর এই গোটা পদ্ধতির নাম দেওয়া হয়েছে ইন্টিগ্রেটেড সিকিউরিটি সিস্টেম (আইএসএস)।
প্রাথমিক ভাবে এই কাজের জন্য ২০২টি স্টেশনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কুম্ভমেলার আগে ইলাহাবাদ স্টেশনে এই নিয়ম কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্নাটকের হুবলি স্টেশনেও চালু করা হবে এই নিয়ম। বাকি ২০০টি স্টেশনে এই নিয়ম কার্যকর করতে কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন অরুণ কুমার।
তাঁর দাবি, গোটা পরিকল্পনার জন্য খরচ হবে প্রায় ৩৮৫ কোটি টাকা। অরুণ কুমার বলেন, ‘‘চেকিংয়ের এই পদ্ধতির অধিকাংশটাই করা হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে। ফলে কর্মীর প্রয়োজন আরও কমবে।’’
আরপিএফ সূত্রে খবর, তালিকায় থাকা স্টেশনগুলিকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হবে। পরিকাঠামো তৈরি হবে বিমানবন্দরের মতো, যাতে অবাঞ্ছিত কেউ ভিতরে ঢুকতে না পারে।
(দেশের আরও খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন)