জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কেটে গিয়েছে ৩১ বছর। শ্রীপেরুমপুদুরের সেই দিন আজও রক্তক্ষরণ ঘটায় রাজীবপ্রেমীদের হৃদয়ে (Rajiv Gandhi Murder)। কিন্তু সেই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত এজি পেরারিভালনকে বুধবার মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে, এই মুক্তির জন্য প্রয়োগ করা হয়েছে অনুচ্ছেদ ১৪২। এর আগে মৃত্যুদণ্ডের সাজাও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তার পর তা বদলে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন। তবে সম্প্রতি তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়। শেষ পর্যন্ত ছাড়াও পেয়ে গেলেন তিনি। এখনও একই মামলার আরও ৬ অপরাধী রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম নলিনী শ্রীধরন ও তার স্বামী মুরুগন।
তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমপুদুরে সেদিন নির্বাচন প্রচারে গিয়েছিলেন রাজীব গান্ধী। তখনই আত্মঘাতি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর দেশের দায়িত্ব উঠেছিল আনকোড়া রাজীবের উপরই। কিন্তু সেই দায়িত্ব তিনি সাফল্যের সঙ্গেই সামলাচ্ছিলেন। আরও একবার প্রধানমন্ত্রীত্ব যে তাঁরই হাতে উঠবে তা নিয়েও নিশ্চিত ছিল রাজনৈতিক মহল। তার মধ্যেই ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা।
রাজীব গান্ধীর হত্যা যখন হয় তখন এজি পেরারিভালনের বয়সছিল মাত্র ১৯। তখন শ্রীলঙ্কায় মাতাচাড়া দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন লিবারেশন টাইগারস অফ তামিল ইলাম মানে এলটিটিই। সেই দলেরই সদস্য ছিল পেরারিভালন। বিস্ফোরণের কাজে ব্যবহৃত ৯ ভোল্টের জোড়া ব্যাটারি কিনে এনেছিল এই ব্যক্তিই। এর পর তাঁকে রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৯৮-এ সন্ত্রাস দমন আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ১৯৯৯-এ সেই রায় মেনে নেয় শীর্ষ আদালত। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড হয়নি তার। ২০১৪-তে সেই রায় বদলে করা হয় যাবজ্জীবন।
তবে কেন্দ্র পেরারিভালনের মুক্তির বিরোধিতা করেছিল। তার পর তা পৌঁছয় রাষ্ট্রপতির দরবারে। কিন্তু রাষ্ট্রপতির তরফে এই নিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। শীর্ষ আদালতে তামিনাড়ু সরকারের তরফে রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার ৭ দোষীকেই ১৬১ ধারায় ক্ষমা করে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তার ভিত্তিতেই মুক্তি পেল পেরারিভালন। এখনও আরও ৬ অপরাধী রয়েছে তামিলনাড়ুর জেলে মুক্তির অপেক্ষায়।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক)