ফের অশান্ত শবরীমালা, এ বার আক্রান্ত  চিত্রসাংবাদিকও

ফের অশান্ত শবরীমালা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ফের অশান্ত শবরীমালা মন্দির। মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করায় আক্রান্ত হলেন ৫২ বছর বয়সী এক মহিলা। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ সামাল দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায় ভক্তদের। সেই ছবি তুলতে গিয়ে জখম হলেন একটি সংবাদ মাধ্যমের এক চিত্র-সাংবাদিকও। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে মন্দির চত্বর থেকে কিছুটা দূরে।

বিশেষ ‘চিতিরা অট্ট থিরুনাল’ পুজোর জন্য সোমবার থেকে দু’দিনের জন্য ফের খোলা হয়েছে মন্দির প্রাঙ্গন। ফলে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়েছে আয়াপ্পার মন্দিরে

কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তা এড়াতে মন্দির চত্বর ঘিরে ফেলা হয়েছে শ’য়ে শ’য়ে পুলিশ এবং সশস্ত্র কম্যান্ডো দিয়ে। এখনও পর্যন্ত ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী কোনও মহিলা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেননি বলেই খবর।

প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ ব্যাপক পুলিশি প্রহরা নিয়ে তাঁরা মন্দিরে যাওয়ার চেষ্টা করেন

সোমবার সকালেও ২৬ বছরের এক মহিলা, স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে মন্দির পরিদর্শনে আসেন। কিন্তু, বেস ক্যাম্প পাম্বাতেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ফের ললিতা নামে এক মহিলাকে আটকে দেওয়া হয়। তাঁর কাছে সচিত্র পরিচপত্র থাকা স্বত্ত্বেও বিক্ষোভরত ভক্তরা তা মানতে অস্বীকার করেন। পরে পুলিশ ওই মহিলাকে উদ্ধার করে মন্দির পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।

ভক্তদের হাতে আক্রান্ত হওয়ায় পর তাঁকে সান্নিধানাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁর পরিচয়পত্র যাচাই করার পর, ভক্তরাই নিরাপত্তার সঙ্গে বিগ্রহ দর্শনের সুযোগ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

সোমবার থেকে দু’দিনের জন্য খোলা হয়েছে মন্দির প্রাঙ্গন। বিশেষ ‘চিতিরা অট্ট থিরুনাল পুজোর জন্য। এর ফলে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়েছে আয়াপ্পার মন্দিরে।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর থেকেই কার্যত দুর্গের চেহারা নিয়েছে শবরীমালা মন্দির চত্বর। যত বারই মন্দির খোলা হয়, তত বারই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে  মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ঋতুমতী মহিলা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেননি। রাস্তা থেকেই ফিরে যেতে হয়েছে তাঁদের।

কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকারের প্রবল প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিজেপি এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির  চাপের মুখে এখনও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। ইতিমধ্যে কেরল বিজেপির রাজ্য সভাপতি পি এস শ্রীধরনের একটি বিতর্কিত অডিও ক্লিপ সামনে এসেছে। ওই ক্লিপে তিনি দাবি করেন যে, গত অক্টোবর মাসে যে হিংসাত্মক বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়, তার দায়িত্ব বিজেপিরই ছিল।