জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কাশ্মীরের পাঁচ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা আর সুরক্ষা পাবেন না, জানিয়ে দিল জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। তাঁদের দেওয়া সরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা তুলে নিল ভারত। ওই পাঁচ নেতার মধ্যে রয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা মিরওয়াইজ উমর ফারুখ, শাবির শাহ, হাশিম কুরেশি, বিলাল লোন এবং আবদুল গণি ভাট।
রবিবার জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন একটি সরকারি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে, ওই পাঁচ নেতার জন্য যে সুরক্ষা এবং গাড়ির ব্যবস্থা ছিল, তা তুলে নেওয়া হচ্ছে। কোনও পরিস্থিতিতেই তাঁদের আর সুরক্ষা দেওয়া হবে না। যদি সরকারের তরফ থেকে আর কোনও সুবিধা তাঁরা পান, তা হলে সে সবও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
পুলওয়ামাতে বৃহস্পতিবার সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গি হামলার পর শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ দিল্লিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গৌবা এবং আইবি’র ডিরেক্টর রাজীব জৈনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, জম্মু-কাশ্মীরের মাটিতে কোনও পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন যাতে শান্তি বিঘ্নিত করতে না পারে, সে জন্য সমস্ত রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের দেওয়া সরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুলওয়ামায় সিআরপি কনভয়ে জঙ্গি হামলা, নিরাপত্তা বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা প্রধানমন্ত্রীর
এর আগে শুক্রবার পুলওয়ামা গিয়েছিলেন রাজনাথ। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, জম্মু-কাশ্মীরের কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী দলের সঙ্গে আইএসআই যোগ আছে। ওই দলগুলির মাধ্যমেই তারা কাশ্মীরে সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করে বলে অভিয়োগ তুলেছিলেন রাজনাথ। এর পরেই জম্মু-কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্র সচিব ওই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুঁটিয়ে দেখেন। সেখানে দেখা যায়, বেশির ভাগ নেতাই সুরক্ষা পান। মিরওয়াইজ উমর ফারুখ, আবদুল গণি ভাট, মৌলানা আব্বাস আনসারির মতো হুরিয়ত নেতারা পুলিশি সুরক্ষাও পেয়ে থাকেন।
বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে জঙ্গি হামলায় ৪৪ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। এই হামলার কারণ হিসেবে কাশ্মীর সমস্যাকে তুলে আনেন হুরিয়ত নেতারা।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠকের পর নাম না করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, প্রতিবেশী দেশকে এর মূল্য চোকাতেই হবে। সেই সঙ্গে এ-ও বলেছিলেন, কবে, কখন, কী ভাবে প্রত্যাঘাত, সেটা সেনাবাহিনী ঠিক করুক। অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ দিনও সর্বদল বৈঠকে বার বার উঠে এল সেই সীমান্ত সন্ত্রাসের কথাই। সন্ত্রাসবাদকে খতম করতে সব দলই সরকারের পাশে রয়েছে বলে জানিয়েছে।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)