ফের এনকাউন্টার কাশ্মীরে, কুলগামে নিহত ডিএসপি আমন কুমার-সহ ১ সেনাকর্মী, খতম ৩ জঙ্গিও

ফের এনকাউন্টার কাশ্মীরেডিএসপি আমন কুমার ঠাকুর।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ফের এনকাউন্টার কাশ্মীরে, এ বার কুলগাম জেলায় মারা গেলেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক। একই সঙ্গে মারা গিয়েছেন এক সেনাকর্মীও। গুরুতর জখম হয়েছেন সেনা বাহিনীর এক জন মেজর এবং জওয়ান। তবে, সেনা-সিআরপি-জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ ওই অভিযানে মারা গিয়েছে তিন জঙ্গিও।

পুলওয়ামা হামলা হয়েছিল গত ১৪ ফেব্রুয়ারি। সেই ঘটনাস্থল থেকে কুলগাঁওয়ের দূরত্ব মাত্র ৪৭ কিলোমিটার। রবিবার ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর আসে, শ্রীনগর থেকে ৬৮ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাঁও জেলার টুরিগাঁওয়ে লুকিয়ে রয়েছে সশস্ত্র জঙ্গিদের একটি দল। পুলওয়ামা হামলার তাদের হাত থাকতে পারে বলেও গোয়েন্দা সূত্রে খবর আসে। এর পরেই গোটা এলাকা ঘিরে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়। যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে ছিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। দুপুর তখন সাড়ে তিনটে। হঠাৎই তাদের দিকে গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা।

পাল্টা দেওয়া শুরু করে যৌথ বাহিনী। শুরু হয় গুলির লড়াই। ওই সংঘর্ষে তিন জঙ্গি মারা যায়। কিন্তু, এনকাউন্টারের নেতৃত্বে থাকা আমন কুমার মারা যান। আমনের বাড়ি জম্মুর ডোডা জেলায়। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাঁওতে ডিএসপি পদে তিনি গত দু’বছর ধরে কর্মরত ছিলেন। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিং বলেন, ‘‘রবিবার ওই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন আমন কুমার। তখনই তাঁর মৃত্যু হয়। আমরা অত্যন্ত সাহসী এক পুলিশ অফিসারকে হারালাম।’’ জঙ্গিদের গুলিতে জখম হয়েছেন ৩ সেনা জওয়ানও। যদিও সেনার পাল্টা গুলিতে ৩ জঙ্গিও নিহত হয়েছে বলে খবর।

সেনা সূত্রে খবর, এখনও কিছু জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে ওই এলাকায়। রবিবার রাত পর্যন্ত গুলির লড়াই চলছে। পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কুলগাঁও থেকে ৪৭ কিলোমিটার দূরের পুলওয়ামাতে সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা ঘটায় জইশ-ই-মহম্মদ। ওই হামলায় সিআরপি-র ৪০ জওয়ান নিহত হন। তার পরেই কাশ্মীরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

কাশ্মীরিদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী: লড়াই কাশ্মীরের জন্য, কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে নয়

এরই মধ্যে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে কেন্দ্র। ইয়াসিন মালিক-সহ বহু বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে গ্রেফতারও করা হয়। তাঁদের সমর্থকরা কাশ্মীরের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাতারাতি ১০ হাজার সেনাকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় উপত্যকায়। তাঁদের স্পর্শকাতর এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও উপত্যকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)