জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: শীনা বোরা বেঁচে রয়েছেন। থাকেন কাশ্মীরে। বৃহস্পতিবার এমনটাই দাবি জানিয়ে সিবিআইকে সরাসরি চিঠি লিখলেন Sheena Bora Murder Case-এর অন্যতম অভিযুক্ত ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়। সে আবার শীনা বোরার মা-ও। একটা দীর্ঘ সময় এই মামলা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে দেশের আইনি ব্যবস্থা থেকে সংবাদ মাধ্যম । তার পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবটাই ঠান্ডা হয়ে যায়। কিন্তু এদিনের দাবি নতুন করে সেই ঘুমিয়ে থাকা আগ্নেয়গিরিতে নতুন করে তাপ সঞ্চার করল। ইন্দ্রানী তাঁর চিঠিতে দাবি জানিয়েছেন, তার সঙ্গে জেলেই এক মহিলা বন্দীর আলাপ হয়েছিল। সেই তাকে জানিয়েছিল তার শীনা বোরার সঙ্গে দেখা হয়েছে কাশ্মীরে।
২০১২-তে শীনা বোরার খুনের দায়ে অভিযুক্ত হয় ইন্দ্রানী। তার পর থেকে কেটে গিয়েছে ৯ বছর। দীর্ঘ জেল খাটা হয়ে গিয়েছে স্বামী-স্ত্রীর। ২০১৫ থেকে ৪৯ বছরের ইন্দ্রানীকে মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলে রাখা হয়। এখনও সেখানেই রয়েছে সে। তার মেয়ে ২৫ বছরের শীনা বোরাকে খুনের দায়ের সেই জেল এখনও খাটছে সে। এই শীনা বোরা তার প্রথম পক্ষের সন্তান। যদিও তাঁকে ইন্দ্রানী বোন বলে পরিচয় দিত। তার গ্রেফতারের তিনমাস পর তার প্রথমপক্ষের স্বামী সঞ্জীব খান্না ও দ্বিতীয়পক্ষের স্বামী পিটারকে গ্রেফতার করা হয় ইন্দ্রানীকে সাহায্যের অভিযোগে।
এর পর বার বার জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে তাদের। এবারও ইন্দ্রানীর এই দাবিকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন না তদন্তকারী অফিসাররা। তদন্তে সেই সময় উঠে এসেছিল, শীনা বোরাকে খুনের সময় ইন্দ্রানীকে সাহায্য করেছিল তার গাড়ির চালক ও তার দ্বিতীয় স্বামী সঞ্জীব খান্না। জানা যায় পিটার মুখোপাধ্যায়ের আগের বিয়ের ছেলে রাহুল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে শীনার সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি ইন্দ্রানী। ২০১৫-তে মুম্বই পুলিশের একমাসের তদন্ত শেষে এই মামলা নিজেদের হাতে তুলে নেয় সিবিআই।
এও জানা গিয়েছিল, সেই সময় শীনা বোরা তাঁর মা-কে হুমকি দিচ্ছিলেন তাঁর সব কীর্তি ফাঁস করে দেওয়ার। এর পর শীনা বোরার অর্ধেক পুড়ে যাওয়া দেহ মুম্বইয়ের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় গাড়ির চালকের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে। যদিও ইন্দ্রানী সবাইকে বলেছিল, শীনা আমেরিকা চলে গিয়েছে। এর পর ২০১৭-তে শুরু হয় ট্রায়াল। ৬০-এর বেশি সাক্ষীর বক্তব্য শোনা হয়। জেলে থাকাকালীনই ইন্দ্রানী ও পিটার তাদের ১৭ বছরের বিবাহিত জীবন শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৯-এ তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। ২০২০-তে জামিনে মুক্তি পান পিটার মুখোপাধ্যায়।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)