কেদারনাথের সব স্কুল এ বার সাউন্ডপ্রুফ, কারণ কপ্টারের দৌড়াত্মে

কেদারনাথের সব স্কুলসারাদিন ধরে এই কপ্টারই ওড়ে কেদারনাথের আকাশে।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কেদারনাথের সব স্কুল এ বার সাজতে চলেছে অভিনব সাজে। মাঝে মাঝেই মাথার উপর দিয়ে ভয়ঙ্কর গর্জন করতে করতে উড়ে যাচ্ছে চপার। সেই শব্দ থেকে মুক্ত পেতেই এই নয়া সাজ। যার ফলে বেশ কিছুক্ষণের জন্য বই-খাতা বন্ধ করে বসে থাকতে হচ্ছে স্কুলের পড়ুয়াদের। কারও চোখ আবার জানলা দিয়ে বাইরে। উৎসুক মনের পড়ায় মন নেই। পড়ার উপায়ও নেই। যে যে সময় ওই কপ্টার উপর দিয়ে উড়ে যায় তখনও পাশে বসেও কথা বললে শোনা যাবে না।

ঘনঘন চপারের যাতায়াতে এলাকার স্কুল গুলোতে পড়াশোনা প্রায় লাটে ওঠার জোগার। তখনই প্রশাসনের মাথায় খেলে গেল একটা দারুণ বুদ্ধি। আসলে প্রশাসন নয় আইডিয়াটা ওই কপ্টার সংস্থারই। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। কয়েকদিনের মধ্যে এলাকার সব ক্লাসরুম হয়ে যাবে শব্দ নিরোধক।

এমনটাই ঘটেছে কেদারনাথের কাছাকাছিতে থাকা গ্রামগুলোয়। তার মধ্যে রয়েছেফাটা, গুপ্তকাশী, গৌরীকুন্ড, সোনপ্রয়াগ  নারায়নকোটি। কেদারনাথ পৌঁছতে গেলে এই জায়গাগুলোর উপর দিয়েই যেতে হয়। চারধাম যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকেই সমস্যার শুরু। দিনের ৬০টি পর্যন্ত ট্রিপ হচ্ছে চপারের। প্রচন্ড শব্দ করে চলাচল এই যানের। যার ফলে পড়াশোনায় বার বারই ব্যাঘাত ঘটছিল। মনোনিবেশ করতে পারছিল না পড়ুয়ারা। এই যাত্রা এখন চলবে বেশ কয়েকদিন। ততদিন স্কুল তো আর বন্ধ করে রাখা যাবে না। তাই বদলে ফেলা হল স্কুলের জানলা দরজা। করে দেওয়া হল পুরো স্কুলকে সাউন্ড প্রুফ।

২০১৬ সালে শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়

এর পর শুরু হয় আলোচনা। হেলিকপ্টার সংস্থার সঙ্গে রুদ্রপ্রয়াগ জেলা অধিকর্তাদের একাধিক সাক্ষাতের পর বোঝা গেল এই অঞ্চল দিয়ে আপাতত কপ্টার ওড়া বন্ধ করা যাবে না। তখন কপ্টার সংস্থাকেই প্রশাসনের তরফে আর্জি জানানো হয়, এই পথে যে ক’টা স্কুল পড়ে সবগুলোকেই সাউন্ড প্রুফ করে দিতে হবে। তাতে সম্মতি জানিয়েছে বিমান সংস্থা। রুদ্রপ্রয়াগের জেলাশাসক জানিয়েছেন, আপাতত ন’টি স্কুলের উপর এই পরীক্ষা চালানো হবে। কাজে লাগলে এর পর এলাকার বাকি স্কুলও সাউন্ডপ্রুফ করে দেওয়া হবে।

এই খবরে স্বস্তি স্কুলগুলোতে। বিমান দেখা আর পড়া দুইই হবে একসঙ্গে। প্রচন্ড শব্দের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এটাই বড় বিষয়। খুদেদের নিশ্চয় একটু মন খারাপ। কপ্টারের শব্দের দাপটে মাঝে মাঝে যে পড়ায় ফাঁকিটা দেওয়া যেত তা আর হবে না। মজা হলেও অনেকেই আবার এই ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুরু করে দিয়েছে। এই টেকনোলজি ব্যবহার করে কি আদৌ সমস্যা পুরোপুরি মিটবে?