জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মুক্ত শশী থারুর দীর্ঘ সাড়ে ৭ বছর পর। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরকে এই মামলা থেকে মুক্তি দিল দিল্লি আদালত। ২০১৪-র ১৭ জানুয়ারি দিল্লির এক হোটেলের ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় সুনন্দা পুষ্করকে। তখন তাঁর বয়স ছিল ৫১। সেই সময় শশী থারুরের বাড়ি ঠিক করা হচ্ছিল বলে হোটেলেই থাকছিলেন তাঁরা। তাঁর মৃত্যুর পর সব আঙউল উঠতে শুরু করে স্বামী শশী থারুরের দিকে। এমনকী আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। সেই মামলাই চলছিল গত ৭ বছর ধরে যার এদিন নিষ্পত্তি হল। আদালত তাঁর বিরুদ্ধে সব রকমের অভিযোগ খারিজ করে এদিন তাঁকে মুক্তি দিল।
মুক্ত হয়ে ৬৫ বছরের শশী থারুর বলেন, ‘‘আমি কৃতজ্ঞ আদালতের কাছে। গত সাড়ে সাত বছর ধরে আক্রান্ত হয়েছিল। আমি প্রশংসা করছি।’’ এর পর এক বার্তায় তিনি লেখেন, এতদিনে তাঁর পরিবার সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যু শোক শান্তিতে পালন করতে পারবে। তিনি লেখেন, ‘‘আমার স্ত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুর পর আমাকে বন্দি করে ফেলা হয়েছিল যা ছিল দীর্ঘ নাইটমেয়ার যার নিষ্পত্তি হল।’’
তিনি আরও লেখেন, ‘‘আমি এত বছরে এমন সব অভিযোগের মুখে পড়েছি যার কোনও বেস ছিল না। আর সংবাদ মাধ্যমের মন্তব্য ঠান্ডা মাথায় সামলেছি। আমার বিচার ব্যবস্থার ভরসা বজায় ছিল। যা আজ সত্যি প্রমান হল।’’ তবে তিনি এও বলেছেন, এই দীর্ঘ বিচার ব্যবস্থা শাস্তিরই সমতূল্য। তথ্য ও তত্ত্বের বিচারে সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যু আত্মহত্যা বা আত্মহত্যায় প্ররোচনার ফলে হয়নি বরং সেটা একটা দুর্ঘটনা ছিল। মৃত্যুর সময় সুনন্দা পুষ্কর নানা রকম শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন।
শশী থারুরের আইনজীবী বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে একটাও অভিযোগের কোনও সাক্ষী পাওয়া যায়নি। এত বছরের মামলার পর তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে কিছুই পাওয়া যায়নি। ২০১০-এ বিয়ে করেছিলেন শশী থারুর ও সুনন্দা পুষ্কর। তার চার বছর পর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় সুনন্দা পুষ্করের। প্রথমে পুলিশ বলেছিল সুনন্দা পুষ্করকে বিষ দেওয়া হয়েছে। এক বছর পর নাম না করে খুনের মামলা দায়ের হয়। কিন্তু লক্ষ্যে ছিল শশী থারুর। তবে শেষ পর্যন্ত মুক্ত শশী থারুর ফিরবেন স্বাভাবিক জীবনে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)