দেশের সব থেকে বড় বাস দূর্ঘটনা তেলেঙ্গানায়, এখনও মৃত ৫৫

দেশের সব থেকে বড় বাস দূর্ঘটনা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দেশের সব থেকে বড় বাস দূর্ঘটনা । এর আগে কোথাও কখনও বাস দূর্ঘটনায় এত লোকের মৃত্যু হয়নি যা মঙ্গলবার হল তেলেঙ্গানায়। দেশের সব থেকে খারার রোড অ্যাক্সিডেন্টই বলা হচ্ছে এটিকে। এখনও পর্যন্ত ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ছ’জন শিশু ও ২৯ জন মহিলা। ৩২ জনের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের মধ্যে হিসেব বলছে বাসে ছিল ৮৮ জন যাত্রী।

তেলেঙ্গানা স্টেট ট্রান্সপোর্টের বাসটি ঘাট রোড থেকে ৩০ ফিট নিচের খাদে পড়ে যায়। জাগিতাল জেলার কোনদাগাট্টুর সানিভারামপেত গ্রামের ঘটনা। বাস চালক তাঁর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতেই এই ঘটনা। কিন্তু মাত্র ৩০ ফিট নিচে পড়ে যাওয়ায় এত লোকের মৃত্যু কী করে হল সেটাও একটা বড় প্রশ্ন।

এর আগে বাস দূর্ঘটনায় এত মানুষ কখনও মারা যায়নি। তার আগে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল কাশ্মীরে ৫১ জন। তেলেঙ্গানায় এর আগে বাসে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছিল ৪৫ জনের। জেলা প্রশাসকের তরফে সাময়িক হেল্প লাইন খোলা হয়েছে তাতে দূর্ঘটনার শিকার লোকেদের আত্মীয়রা সঠিক তথ্য পেতে পারেন। ফোন নম্বর: ৮০০৪২৫৪২৪৭।

 ১৭ বছর আগে ১১ সেপ্টেম্বর জঙ্গি হানায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ার

জাগিতাল ডিপোর উদ্দেশে রওনা দেওযা পুরো ভর্তি বাসই রওনা দিয়েছিল কোন্দাগাট্টু থেকে।  কোনও এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন সকলেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী টুইটে লেখেন, ‘‘দূর্ঘটনায় এত মানুষের জীবন চলে যাওয়া কষ্ট দিচ্ছে। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।’’ রাজনাথ সিং মোদীর টুইটেরই কপি পেস্ট করেন। রাহুল গান্ধী লেখেন, ‘‘এত শ্রদ্ধালুর মৃত্যুর খবরে আমি মর্মাহত। দূর্ঘটনাস্থনে কংগ্রেসপার্টির কর্মীরা যযা সম্ভব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। আহত ও মৃতদের পরিবারের জন্য প্রাথর্না করি।’’

দ্রুত গতিতেই চলছিল বাসটি। সামনে যে স্পিড ব্রেকার ছিল তা দেখতে পাননি বাসের চালক শ্রীনিবাস। সেই মুহূর্তেই ব্রেক কষেন তিনি। তাতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি রাস্তা থেকে গড়িয়ে যায় নিচে। পরার সময় চারবার পাল্টি খায় বাসটি। পুরো ভর্তি বাসের মধ্যেই একে অপের ঘারে গিয়ে পড়ে। প্রথমে যখন ব্রেক কষেন চালক তখন তাঁর উপর গিয়ে পড়েন কয়েকজন যাত্রী। তাতে আরও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। এই চালকই সদ্য স্বাদীনতা দিবসের দিন চালক হিসেবে সম্মানিত হয়েছিলেন। মনে করা হচ্ছে বেশিরভাগ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে দম বন্ধ হয়ে।

রাজ্য সরকার মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ ও আহতদের তিন লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আহতদের ওসমানিয়া, গান্ধী ও এনআইএমএস-এ ভর্তি করা হয়েছে।