বিএস ইয়েদুরাপ্পা কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন

আস্থা ভোটে বিজেপি, বিএস ইয়েদুরাপ্পাবিএস ইয়েদুরাপ্পার।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিএস ইয়েদুরাপ্পা কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ন‘টায় ইয়েদুরাপ্পাকে শপথবাক্য পাঠ করান কর্নাটকের রাজ্যপাল বজুভাই বালা। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিধানসভায় তাঁকে সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে।

ইয়েদুরাপ্পা শপথ নিলেও রাজনৈতিক টানাপড়েন রয়েছে কর্নাটকে। এ দিন বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে কংগ্রেস এবং জেডি(এস)। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তাদের দাবি, সরকার গঠনের প্রয়োজনীয় সংখ্যা থাকা সত্ত্বেও সরকার গড়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। কংগ্রেস ও জেডি(এস)-এর আশঙ্কা, ১৫ দিন সময় পেয়ে যাওয়ায় তাদের বিধায়কদের ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে বিজেপি। এর আগে গোটা রাত ধরে শপথ নিয়ে নাটকীয় ঘটনা দেখেছে গোটা দেশ। ইয়াকুব মেননের পর প্রায় নজিরবিহীন মধ্যরাতের শুনানি। কংগ্রেসের করা মামলার আবেদন মেনে সেই শুনানির পর, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইয়েদুরাপ্পার শপথে স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

চার দিক সবুজে সবুজ পঞ্চায়েত, মাঝে মাঝেই গেরুয়া ছোঁয়া

বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে বুধবার রাত ৯টায় চিঠি পাঠিয়েছিলেন কর্নাটকের রাজ্যপাল বজুভাই বালা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ন’টায় শপথগ্রহণ করতে বলা হয়। তার এক ঘণ্টার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস এবং জেডি (এস)। আর্জি শপথগ্রহণের উপরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। এবং গরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ইয়েদুরাপ্পাকে যে ১৫ দিন সময় রাজ্যপাল দিয়েছেন, তা কমানো হোক। আর্জির গুরুত্ব বিবেচনা করে রাতেই শুনানিতে রাজি হয় শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলার পর, রাত দেড়টা নাগাদ আদালতে আসেন তিন বিচারপতি অর্জনকুমার সিক্রি, শরদ অরবিন্দ বোবদে ও অভয় মনোহর সাপ্রে।

শুনানির পর সুপ্রিম কোর্ট শপথে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে। তবে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টায় ফের এই মামলার শুনানি হবে। এর মধ্যে, সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে রাজ্যপালকে দেওয়া ইয়েদুরাপ্পার চিঠির কপি শীর্ষ আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে আর একবার মধ্যরাতে খুলেছিল সুপ্রিম কোর্টের দরজা। ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির আগের রাতে নজিরবিহীন ভাবে ফাঁসি রদের আবেদন নিয়ে শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। শুনানি চলেছিল ভোর রাত পর্যন্ত। এ দিন শুনানি শুরু হয় রাত পৌনে দু’টোয়। কংগ্রেসের পক্ষে সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যপালের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা।

ইয়েদুরাপ্পা বৃহস্পতিবার শপথ নিতে মরিয়া ছিলেন। কারণ, জ্যোতিষীর মতে সেটা শুভদিন। তাই স্টেডিয়াম পর্যন্ত বুক করে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি ডাক পাবেন কি না, তা নিয়ে টানাপড়েন চলে রাত পর্যন্ত।