পয়লা বৈশাখ, মেতেছে বাঙালি, কাল কিন্তু মান ডে!

পয়লা বৈশাখপয়লা বৈশাখ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পয়লা বৈশাখ, বাঙালির বড় সাধের। একটা সময় এই দিন থেকেই শুরু হত বাঙালির নতুন বছর। কিন্তু, এখন সেই জায়গাই দখল করে নিয়েছে আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজি। এখন বাঙালি ধুমধামের সঙ্গে নিউ ইয়ার পালন করে। তাই বলে কি নববর্ষ হারিয়ে গিয়েছে বাঙালির জীবন থেকে? মোটেও না। বিশেষ দিনগুলিকে বাঙালি তো বড় আমোদের সঙ্গেই পালন করে। তাই আজকের দিনটাও বাদ গেল না।

একে রবিবার, তায় পয়লা বৈশাখ। কাজেই বাঙালি সকাল থেকেই নেমে পড়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়ে শুরু। নানা রকমের কারুকাজওয়ালা বার্তা। রবি ঠাকুর থেকে জীবনানন্দ, শক্তি থেকে সুনীল, স্বস্তিকা চিহ্ন থেকে ঘুড়ি– সব দিয়েই তৈরি হয়েছে রঙিন সব মন ভাল করে দেওয়া বার্তা। শুভেচ্ছা, নতুন বছর ভাল কাটুকের পাশাপাশি বাঙালির আপন সব ভাল লাগা কবিতা, গানে সেজে উঠেছিল সেই সব বার্তা।

নানা রকমের কারুকাজওয়ালা বার্তা। রবি ঠাকুর থেকে জীবনানন্দ, শক্তি থেকে সুনীল, স্বস্তিকা চিহ্ন থেকে ঘুড়ি– সব দিয়েই তৈরি হয়েছে রঙিন সব মন ভাল করে দেওয়া বার্তা।

বাদ যায়নি ভিডিয়োও। নানা গান, কবিতা এবং নাচের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে সেই সব বার্তা। আর তার পরই সে সব ভেসে উঠেছে দেশ বিদেশে আত্মীয়-বন্ধু-প্রিয়জনদের মোবাইলে। এক দিনেই সমস্ত ঔপনিবেশিকতা কাটিয়ে বাঙালি সাজিয়ে তুলেছে নিজের বাঙালিয়ানা।

কাজের ফাঁকেই সুস্থ রাখুন নিজের ঘাড়, পিঠ, হাত

সকালে জমিয়ে লুচি-তরকারি-ছোলার ডাল আর বোঁদে। একটা দিনই বটে। ফলে খাওয়াতেও সে হযে উঠতে চেয়েছে বাঙালি হতে। বাদ যায়নি দুপুরের স্বাদও। কেউ গেলেন বাইরে। কেউ খেলেন ঘরে। বিভিন্ন রেস্তরাঁ আজ তাদের পসরা সাজিয়েছিল একেবারে খাঁটি বাঙালি পদে।কলকাতাতে তো এমন রেস্তরাঁ এখন প্রচুর। বিশেষ দিনের পাশাপাশি তারা প্রায় রোজই ইলিশের ভাঁপা, চিংড়ি পোস্ত, আলু ভাজা, সোনা মুগ ডাল, মোচার ঘণ্ট বা আমের টাচনি তৈরি করে। কিন্তু, পয়লা বৈশাখ সে সব মেনুতে আরও বাঙালিয়ানা। কচুর লতি থেকে মুড়োঘণ্ট, লইট্যা মাছের মুইঠ্যা থেকে মৌরলা মাছের টক– এ সবই তো পয়লার পদ।

বিকেলে বাঙালি গেল সিনেমা দেখতে। আগে যেত হালখাতায়। সেখানে নানাবিধ আয়োজন থাকত। থাকত, ফুচকা থেকে আমের শরবত। সঙ্গে মিষ্টির বাক্স থেকে বাংলা ক্যালেন্ডার। বাড়ি ফেরা স্থানীয় কোনও মেলা বা জলসা ঘুরে। এখন সে সব প্রায় নেই। তাই সন্ধ্যায় বাঙালি গেল শপিং মলে। সেখানেই মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা। তার পর নামী রেস্তরাঁয় ফের জমিয়ে খাওয়াদাওয়া।

বাড়ি ফিরে বাঙালিয়ানায় মোড়া আস্ত একটা ঢেকুর তুলে, নিজেকে আজন্ম বাঙালি ভেবে শুতে যাওয়া। কাল থেকে ফের অফিস। কাল তো উইকের ফার্স্ট ডে। মান ডে। আবার কবে একটা উইকেন্ড আসবে। তবে একটু হলিডের আনন্দ।