জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অসময়ের বৃষ্টিতে সুস্থ থাকতে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তার উপর কোভিডের চোখ রাঙানি। কারও একটা হাঁচি হলেই আঁতকে উঠছে প্রাণ। আতঙ্কে মানুষ সুস্থ হওয়ার বদলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বেশি করে। এই পরিস্থিতিতে সবার আগে কাটিয়ে ফেলতে হবে ভয়। সব জ্বর, সর্দিকাশিই কিন্তু কোভিড নয়।
আগে থেকেই ধরে নেবেন না আপনার কোভিড হয়েছে। তবে সব রকম সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন, নিজেকে বাড়ির বাকিদের থেকে দূরে রাখতে হবে। কারণ কোভিড না হলেও সর্দিকাশিও খুব ছোঁয়াচে। আর এই আবহাওয়ায় যা খুব সহজেই হচ্ছে। চেষ্টা করতে হবে যাতে সর্দিকাশি বা জ্বর না হয়। অসময়ের বৃষ্টিতে সুস্থ থাকতে কী করবেন—
এক, এই সময় যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছে সেহেতু বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ রয়েছে অনেক বেশি। এই সময় যা সাধারণত হয় না। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর থেকে কলকাতা তথা বাংলায় গরম কমে গিয়ে একটা ঠান্ডার আগমনীবার্তা আস্তে শুরু করে দেয়। কিন্তু এখন তেমনটা হয় না। আর এ বছর তো আবহাওয়া প্রতিদিন নতুন নতুন খেলা দেখাচ্ছে। সে কারণে, সূর্য ডোবার পর দীর্ঘক্ষণ খোলা আকাশের নিচে থাকা যাবে না। আর যদি থাকতে হয় তাহলে মাথা ঢেকে রাখা মাস্ট।
দুই, এখন গরম, বৃষ্টি সব কিছু তেমন রয়েছে তেমনই শুরু হয়ে গিয়েছে শিশির পড়াও। তা মাথায় পড়লেও সর্দিকাশির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খোলা আকাশের নিচে কম থাকাই ভাল। ছাতা বা রেইনকোট ব্যবহারও জরুরী।
তিন, এই সময়ের রোদটাও খুব ভাল নয়। রোদ বেশি গায়ে লাগাটাও ক্ষতিকর হতে পারে। সঙ্গে যতই বৃষ্টি হোক বাতাসে আর্দ্রতাও রয়েছে বেশি পরিমাণে। মা থেকে ঘাম হচ্ছে। আর সেটাই ঘাম গায়ে হয় আমরা সরাসরি ঢুকে পড়ছি এসিতে নতুবা বাড়ি ফিরে বাথরুমে। তার পর ঘামের মধ্যেই ঠান্ডা জল গায়ে ঢালছি। এতে মে কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে কল্পনাও করতে পারবেন না। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শরীরের তাপমাত্রা ১৮০ ডিগ্ৰি বদলে যাচ্ছে। যার ফলে নষ্ট হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য। এরকম পরিস্থিতিতে শরীরকে একটু স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে তবেই এসি বা স্নানে ঢোকা উচিত।
চার, আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় চেষ্টা করবেন উষ্ণ গরম জলে স্নান করতে। বিশেষ করে আপনি যদি নিজের চেনা পরিচিত জলবায়ুর বাইরে কোথাও যান তাহলে তো অবশ্যই সরাসরি ঠান্ডা জলে স্নান করবেন না।
পাঁচ, বৃষ্টিতে ভিজলে অবশ্যই বাড়ি ফিরে স্নান করবেন। অফিসে যাওয়ার পথে বৃষ্টিতে ভিজলে যদিও স্নান করার সুযোগ থাকবে না। তবে এই ঘন ঘন বৃষ্টির সময় অফিসে রং ড্রয়ার এক সেট ড্রেস রেখে দেবেন। সঙ্গে এক জোড়া জুতোও। ভাল করে মাথা, গা, হাত-পা মুছে জামা কাপড় বদলে ফেলতে হবে। গায়ে জামা-কাপড় শুকোলে তাও আবার এসির মধ্যে, ভয়ঙ্কর হতে পারে।
ছয়, এই সময় ফুড হ্যাবিটেও কিছু বদল আনা যেতে পারে। যেমন, সকালে উঠে এক চামচ চবনপ্রাশ দারুণ উপকারী হতে পারে। যাঁরা সেটা পছন্দ করেন না তাঁরা সকালে খালি পেটে উষ্ণ জল এক চামচ মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। বেশি করে ফল খান আর ফাস্টফুডকে দূরে রাখুন।
অসময়ের বৃষ্টিতে সুস্থ থাকতে এই ক’টা বিষয় মেনে চললে উপকার পাবেন আর সব থেকে বড় বিষয় অপকারটাকে এড়ানো যাবে। সঙ্গে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। পাঁচ দিন জ্বর না কমলে কিন্তু পরীক্ষা করে নিতে হবে কোভিডের। পাশাপাশি এই সময় যে সব রোগ হচ্ছে তার।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)