জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অফিসে আলস্য এবং ঘুম পাওয়ার (Sleepy At Office) সমস্যা থেকে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। আর এই কারণে কোনও কাজই স্বাভাবিকভাবে হয় না। যার প্রভাব পড়ে অ্যাসেসমেন্টে। আটকে যেতে পারে ইনক্রিমেন্ট এবং প্রোমোশন। যাঁরা এই সমস্যার সম্মুখিন হন তাঁদের পেশাদার জীবন বার বার ধাক্কা খায়। কিন্তু এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। আর মুক্তি পেতেই হবে না হলে কেরিয়ারের ক্ষতি। জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
কফি বা চা
অফিসে ঘুম তাড়ানোর সব থেকে ভাল উপায় হল কফি বা চা। তার মানে এই নয় যে প্রতি ঘণ্টায় আপনি চা বা কফি পান করবেন। সেটা আবার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাহলে সময় বেছে নিতে হবে। সারাক্ষণ কারও ঘুম পেতে পারে না। লক্ষ্য করে দেখবেন একটা বিশেষ সময়ে আপনার ঘুম পাচ্ছে। হয়তো লাঞ্চের পর। তাহলে সেই সময়ই একটা স্ট্রং কফি বা চা পান করে নিন। যেটা আপনি পছন্দ করেন।
চকলেট
চকলেট এমনটা একটা জিনিস যা এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে। সব সময় সঙ্গে রাখুন চকলেট। ডার্ক চকলেট হলে আরও ভাল। যখনই মনে হবে কাজে এনার্জি পাচ্ছেন না তখনই দু’তিন কামড় দিয়ে নিন চকলেটে। হট চকলেটও খেতে পারেন। এটা সঙ্গে সঙ্গে কাজ করে। আপনি যদি এই ঘুম ঘুম ভাবটাকে বাড়তে দেন তা কিন্তু রীতিমতো গ্রাস করে নেবে।
হেঁটে আসুন
এরকম নয় যে আপনি যতক্ষণ অফিসে থাকছেন ততক্ষণই কাজে ডুবে থাকছেন। তাই যদি হতো তাহলে ঘুম পেত না। অফিসে যখন কাজ থাকে না তখনই ঘুমটা বেশি পায়। তাহলে সেই সময় একটু এসি ঘর থেকে বেরিয়ে খোলা হাওয়ায় হেঁটে আসুন। এই টুকু অনুমতি নিশ্চই আপনার অফিস দেবে। তেমন হলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে একভাড় চা পান করে নিতে পারেন। দেখবেন পুরো বিষয়টা ম্যাজিকের মতো কাজ করবে।
ঠান্ডা জল
এটা তো সবারই জানা যে ঘুম পেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিলে তা কাজ দেয়। তবে শুধু মুখ ধুলে হবে না, ঠান্ডা জল একটু হাতে নিয়ে ঘাড়ে, গলায়ও দিন। দেখবেন রিল্যাক্স লাগবে। ওয়াশরুমে থাকলে সঙ্গে একটু ফ্রিহ্যান্ড করে নিন। তাতে পেশিগুলো শিথিল হবে।
পাওয়ার ন্যাপ
এটা অনেকের সঙ্গে এক ঘরে বসলে একটু সমস্যার। কেউ কেউ কাজ করছেন তার মধ্যে আপনি ঘুম দেবেন দেখতে ভাল লাগে না। বরং এটায় হরিতে বিপরিত হতে পারে। কিন্তু নিজের কেবিন থাকলে সেটা সহজেই করা যায়। খানিকক্ষণ চোখ বুজে বসে থাকুন দেখবেন ঘুম ঘুম ভাব উধাও।
সতীর্থদের সঙ্গে গল্প
খালি সময়েই ঘুমটা পায়। সেই সময় পাশের সতীর্থর সঙ্গে একটু গল্প করে নিন। কাজের বিষয় নিয়েই হতে পারে। বা ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে, রাজনীতি বা সিনেমা নিয়েও হতে পারে। গল্প, আড্ডা আপনার এনার্জি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
রাতের ঘুম
এখানে সবার শেষে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল রাতের ঘুম। খেয়াল করুণ আপনার রাতের ঘুম ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা। পুরো সাত ঘণ্টা সাউন্ডস্লিপ হচ্ছে কিনা। না হলে এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। ঘুমের ঘাটতি থাকলেই সারাক্ষণ একটা ঘুম ঘুম ভাব থেকে যায়। সেটা যেমন কাজের ক্ষতি করে তেমনই ঝুঁকিপূর্ণ। আপনি রাস্তায় বেরচ্ছেন, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করছেন বা নিজে গাড়ি চালাচ্ছে— সব ক্ষেত্রেই ঘুম ঘুম ভাবটা ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google