জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পুজোর আগে এমন অকাল বৃষ্টি নতুন কোনও ঘটনা নয়। প্রায় প্রতিবছরই সারা বছরের বৃষ্টির ঘাটতি মেটাতে প্রকৃতি বেছে নেয় এই সময়টাই। আর যাঁরা ভাবেন শেষবেলায় গিয়ে বাজার (Pujo Shopping) করবেন তাঁদের হয় বিপদ। আর বৃষ্টিও দেখে দেখে উইকএন্ডেই আসে। তবে হাসফাঁস গরমে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে এই অকাল বৃষ্টি। কিন্তু শপিং তো করতেই হবে। হাতে মাত্র আর ক’টাই বা শনিবার, রবিবার রয়েছে? শপিং নিয়ে কিছু টিপস তাহলে দিয়েই ফেলা যাক।
বেশিরভাগ মানুষ যাঁদের পরিবারের সকলেই চাকরি করেন তাঁরা সাধারণত, একদিনেই যত শপিং করার করে ফেলেন। সে ক্ষেত্রে খুব সমস্যা হয় না। কারণ তাঁদের পরিকল্পনা করেই বাজারে যান—কী কিনবেন, কত টাকার মধ্যে কিনবেন, কার কার জন্য কিনবেন। এমন কী এই সব মানুষদের দোকানও বেশিরভাগ সময় ফিক্সড থাকে। কিন্তু যাঁদের এমন পরিকল্পনা থাকে না তাঁরাই আসলে যে কোনও উৎসবের আগে বাজারের ভিড় বাড়ান। এবং পরিকল্পনা না থাকায় একটার পর একটা দোকান ঘোরাই বেশি হয় কেনার থেকে। এক্ষেত্রে পরিকল্পনা খানিকটা এভাবে করা যেতে পারে।
যাঁদের উইকএন্ড ছাড়া উপায় নেই তাঁরা সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ুন। বৃষ্টিটা সাধারণত হচ্ছে দুপুরের দিকে। এবং টানা দীর্ঘ সময়ও যে বৃষ্টি চলছে তেমনটা নয়। কিছুক্ষণ হয়ে থেমে যাচ্ছে। তাতে যেটা হচ্ছে আবহাওয়াটা সুন্দর হয়ে যাচ্ছে। তাই সকালের ব্রেকফাস্ট সেরেই চেনা দোকানে চলে যান। আগে থেকে ফোন করে দোকানকে জানিয়েও দিতে পারেন আপনার কী কী লাগবে। যাঁদের দোকান আগে থেকে ঠিক করা নেই তাঁরা এমন জায়গায় যান যেখানে এক ছাদের তলায় সবটা পাওয়া যায়। তাহলে বৃষ্টি এলেও ভেজার সম্ভাবনা থাকবে না। একদিনেই কিনে ফেলুন সব। টুকটাক বাকি তাও থেকেই যায়, সেটা না হয় পরের সপ্তাহের জন্য থাক। ও ভাল কথা, এদিন আর বাড়িতে রান্নার ঝক্কি নাই বা রাখলেম। লাঞ্চটা সেরে নিন কাছাকাছি কোনও রেস্টুরেন্টে।
তবে যাঁরা পরিকল্পনা করে বাজার করতে যান না তাঁদের জন্য পরিকল্পনাটা একটু অন্যরকম হতে পারে। যেমন, সপ্তাহের মাঝেই অফিস থেকে ফিরে পরিবার নিয়ে কাছের বাজারে চলে যান। একটু রাত হলে ভিড়টাও কমবে। তবে দোকান বন্ধ হওয়ার আগে যেতে হবে। বা আরও একটা কাজ করা যেতে পারে— অফিসের আশপাশেই কোনও মার্কেট চত্তরে পরিবারের লোকদের ডেকে নিন অফিসের পরে। সপ্তাহের মাঝে ভিড়ও কম থাকবে। আরও একটা উপায় রয়েছে— সকলেই সকলের মতো করে অফিস ফেরৎ একটু একটু করে কেনাকাটি সেরে ফেলুন। যাঁরা বাড়িতে থাকেন বা কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত নন তাঁরা দুপুরের খাওয়ার পর বেরিয়ে পড়ুন কাছাকাছি কোনও বাজারে। দেখবেন পুজোর আগেই সারা হয়ে যাবে শপিং।
আমাদের আরও একটা নেশা আছে। আমার তো আছেই। সেটা হল ফুটপাতের বাজার। দারুণ আকর্ষণীয় কলকাতা শহরের ফুটপাথের বাজার। সে আপনার স্থানীয় বাজারই হোক বা নিউ মার্কেট, গড়িয়াহাট চত্তরের ফুটপাত। কী না পাওয়া যায় সেই সব ফুটপাতে। জামা-কাপড় থেকে ব্যাগ, জুতো থেকে গয়না—কী নেই। দরদাম করতে পারলে এই মার্কেটের কোনও তুলনাই হয় না। আর এই মার্কেটে সারাবছরই ভিড় থাকে। তাই সুযোগ বুঝে ঘুরে নেওয়াই যায়।
সবার শেষে যে বিকল্পটার কথা বলব তার কোনও বিকল্পই হতে পারে না। গোটা বিশ্ব এখন তার উপরই নির্ভরশীল। সেটা হল অন-লাইন শপিং। দোকান, বাজার, শপিংমলের মতই অন-লাইন শপিংয়েও পুজোর নতুন নতুন কালেকশন এসেছে। চলছে সেল। তাই বাজারে গিয়ে বাজার করতে না পারলে এখন আর কোনও সমস্যা নেই। কাজের ফাঁকে, বা বাড়িতে চা খেতে খেতেই শপিং অ্যাপ খুলে পছন্দ করে দিয়ে ফেলুন অর্ডার। পুজোর আগেই আপনার হাতে চলে আসবে নতুন জামা, শাড়ি, গয়না, ব্যাগ, জুতো। তাহলে আর চিন্তা কী? বৃষ্টিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সেরে ফেলুন পুজো শপিং।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google