জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: গরমে হাসফাঁস অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের। রোদে পুড়ছে কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলা। এখনই তা থেকে যে নিস্তার নেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আপাতত আগামী কয়েক সপ্তাহ ঝড়, বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। এর মধ্যেই রোজ বাড়ি থেকে বেরতে হচ্ছে, ট্রেনে-বাসে চাপতে হচ্ছে, অফিস, স্কুল, কলেজ যেতে হচ্ছে। তাতে যে আরও বিপদ বাড়ছে তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। যা খবর শুক্রবার থেকে গরম আরও বাড়বে। চলবে তাপপ্রবাহ।
সপ্তাহান্তের কয়েকদিন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪-৫ ডিগ্রি উপরে থাকবে। লু বইবে। তার মধ্যে এই বছর গরমের ধরনও অনেকটাই বদলে গিয়েছে। ঘাম কম হচ্ছে। যেটা কলকাতা তথা বাংলার সমস্যা, প্রবল ঘাম হওয়া। কিন্তু এবার তেমনটা হচ্ছে না। বরং এবারের গরম অনেকটাই শুষ্ক। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই খারাপ। এমন শুষ্ক গরমেই অনেকবেশি হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পরিস্থিতি দেখে ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খুব প্রয়োজন না হলে বাড়ি থেকে বেরতে বারণ করা হয়েছে। তাও যদি বেরতে হয় তাহলে বেশ কিছু নিয়ম মানার অনুরোধ জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। কারণ প্রকৃতির উপর কারও কোনও হাত নেই তাই নিজের সাবধানে থাকাটা জরুরি।
এই পরিস্থিতিতে কী কী করবেন
১) রোদে বেরলে ছাতা ব্যবহার বাধ্যতামূলক ২) ছাতার সঙ্গে মাথা,কাঁধ ভাল করে সুতির কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। যাতে হিট সরাসরি আঘাত না হানতে পারে ৩) সকাল সকাল বাইরে কাজ সেরে ফেলতে পারলে ভাল ৪) জল পানের পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়ে দিন। বার বার জল পান করতে হবে ৫) সঙ্গে ওআরএস বা নুন-চিনির জল রাখতে হবে ৬) সুতির ও ঢিলে পোষাক ব্যবহার করতে হবে ৭) যতক্ষণ বাইরে থাকতে হবে ততক্ষণ চোখ ছাড়া শরীরের বাকি অংশ ঢেকে রাখুন। ফুলহাতা জামা, ফুল প্যান্ট, গ্লাভস, মোজা ব্যবহার করুন ৮) দিনে কম করে তিনবার স্নান করুন ৯) হালকা খাবার খান
এই পরিস্থিতিতে কী কী করবেন না
১) যতক্ষণ না রোদ পড়ছে ততক্ষণ ঘরের বাইরে না বেরনোই ভাল ২) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত সময়টা সব থেকে খারাপ ৩) বাইরে বেরতে হলেও ছাঁয়া দেখে হাঁটাচলা করুন ৪) নিজের গাড়ি থাকলে চেষ্টা করুন ছাওয়ায় পার্ক করে ৫) চা, কফি, কোল্ড ড্রিঙ্ক, অতিরিক্ত মদ্যপান না করাই ভাল এই সময় ৬) গরম থেকে এসেই এসিতে ঢুকে যাবেন না ৭) রোদ থেকে ঢুকেই সঙ্গে সঙ্গে জল পান করবেন না ৮) ঘামে পাউডার ব্যবহার নয় তাতে রোমকুপ বন্ধ হয়ে ঘাম না হওয়াটা খারাপ
এই পরিস্থিতিতে কী কী হতে পারে
১) মাথা ঘোরা ২) ক্লান্তি ৩) বমি ভাব বা বমি হওয়া ৪) মাথা ব্যথা ৫) সর্দি-জ্বর
এই সব পরিস্থিতিতে ফ্যানের তলায় বসে আগে নিজেকে কিছুটা ঠান্ডা করে নিতে হবে। তার পর বোতল থেকে নয় গ্লাসে করে অনেকটা জল পান করুন। এটা ওআরএস বা নুন-চিনির জলও হতে পারে। ফ্রিজের জল না পান করে মাটির কলসির জল ব্যবহার করুন তাতে ঠান্ডা-গরমের সমস্যা হবে না। এই ভয়ঙ্কর গরমে নিজেকে সুস্থ রাখুন।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে