১০০ শব্দের গল্প ১৮: অপরাজিতা

১০০ শব্দের গল্প

১০০ শব্দের গল্প নিয়ে মজার খেলাটা হঠাৎই মাথায় এল। লকডাউনে যখন সবাই গৃহবন্দি তখন ভাললাগা, ভালবাসাগুলোকে আরও একবার খুঁজে পেলে কেমন লাগে? সেই খোঁজেই এই ১০০ শব্দের গল্প লেখার উদ্যোগ ফেসবুকে। অনেকেই সাড়া দিয়েছেন, অনেকেই দেননি। কিন্তু যাঁরা দিয়েছেন তাঁরা নিজের সেরাটা তুলে ধরেছেন। ১০০ শব্দ কারও বেশি হয়েছে কারও কম, কিন্তু সবাই লিখেছে গল্প। জাস্ট দুনিয়ার পাতায় এ বার সেই গল্পগুলোকেই আমাদের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা। ১৮তম দিনের গল্প লিখলেন সোমা রায় (https://www.facebook.com/soma.roy.3745)


সবে গুজরাতের অজ পাড়া-গাঁ থেকে চেন্নাইয়ের শহরে কাজ নিয়ে এসে গাঁয়ের ভাইবোনগুলোর মুখে শুখা রুটির বন্দোবস্ত করেছে লছমি, কোথা থেকে এক রোগ এসে এটুকুও কেড়ে নিল।

এখন শুধু দিন গোনা, কবে গাঁয়ে ফিরতে পারবে। কিন্তু দেশজোড়া লকডাউন। পথ বন্ধ। দিন যায়। একটা দল করে তারা পায়ে হেঁটেই রওনা হয়। বাড়ি যাওয়ার খুশিতে, উৎসাহে অনেকটা পথ পেরিয়ে যায় তারা।

পাছে পথ চলতে অসুবিধে হয়, তাই বছর চোদ্দোর লছমির খাওয়ার পরিমাণ ক্রমশ কমতে থাকে। এভাবেই গুজরাত অবধি পৌঁছয় দলটি। লছমির গ্রাম আসতে আর দেড়শো কিলোমিটার মতো পথ বাকি।

হঠাৎ লছমির শুরু হল ভেদ বমি, রক্ত-পায়খানা। তবু সে কষ্ট করে চলে। দলের লোকেরা একটা খাটিয়া বানিয়ে তাতে মেয়েটাকে তুলে নিয়ে হাঁটতে থাকে। ওকে বাঁচাতেই হবে। লছমি গাঁয়ে পৌঁছল। হ্যাঁ। বেঁচেই। কিন্তু প্রাণটুকু ধুঁকছে। এখুনি চিকিৎসা শুরু না হলে বাঁচানো মুশকিল। গ্রামবাসীরা তাকে গ্রামের হাসপাতালে ভর্তি করে দিল।

শুরু হল অন্য লড়াই। মৃত্যুর সঙ্গে। এতেও জিতবে লড়াকু মেয়েটা। জিতবেই।

*সত্য ঘটনা অবলম্বনে। স্থান-কাল-পাত্রের নাম পরিবর্তিত।

গ্রাফিক্স: অর্ণবী ঘোষ

(আরও গল্প পড়তে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(আপনারাও পাঠাতে পারেন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, জীবনের অভিজ্ঞতার কথা এই ই-মেলে: justduniya2017@gmail.com অথবা ইনবক্স করুন ফেসবুক পেজে: https://www.facebook.com/JustDuniyaNews )