১০০ শব্দের গল্প নিয়ে মজার খেলাটা চলল টানা ২০ দিন। লকডাউনে যখন সবাই গৃহবন্দি তখন ভাললাগা, ভালবাসাগুলোকে আরও একবার খুঁজে পেলে কেমন লাগে সেটা প্রমান হয়ে গিয়েছে। সেই খোঁজেই এই ১০০ শব্দের গল্প লেখার উদ্যোগ ফেসবুকে সফল। দারুণ সাড়া পেয়েছি। সকলেই নিজের সেরাটা তুলে ধরেছেন। ১০০ শব্দ কারও বেশি হয়েছে কারও কম, কিন্তু সবাই লিখেছেন গল্প। জাস্ট দুনিয়ার পাতায় সেই গল্পগুলোকেই একজায়গায় করে রাখার একটা সামান্য চেষ্টা করলাম। ২০তম গল্প দিয়ে এ বারের মতো শেষ হচ্ছে ১০০ শব্দের গল্প। শেষ গল্প লিখলেন সুচরিতা সেন চৌধুরী (https://www.facebook.com/sucharita.chowdhury)
সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রায় চোখ বুজেই বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায় অনিন্দিতা। এটা ওর রোজের রুটিন। প্রথম ভোরের অক্সিজেনটা ফুসফুসে ভরে নেয়। এই পাহাড়ে বায়ুদূষণ নেই বললেই চলে। তবুও, মনের দূষণকে বড্ড ভয় ওর।
রাতে বৃষ্টির পর পাহাড়ের সবুজটা আরও গাঢ় হয়ে যায়, খরস্রোতা নদী ভাসিয়ে নিয়ে যায় আদরের নৌকো।
কতগুলো বছর হয়ে গিয়েছে শহর ছেড়ে এই পাহাড়ে জাঁকিয়ে বসেছে। একটা সময় এটা স্বপ্নের মতো ছিল। আর এখন তা বাস্তব। তা-ও মাঝে মাঝে কালো মেঘগুলো এসে ধাক্কা খায় ওর স্মৃতির পাহাড়ে। তার পর ঝড় ওঠে, প্রবল ঝড়, কখনও কখনও ধস নামে মনের গহীনে।
তখনই এক টোকায় পাতার মুঠোয় আটকে থাকা জলের ফোঁটাকে মুক্তি দেয় ও। পাতাটার নিশ্চই বড্ড রাগ হয় অনিন্দিতার উপর। ওর অবশ্য তাতে বয়েই গেল।
মনে মনে বলে, ‘‘আমি বার বার মুক্তি দেব সব আটকে থাকা বিষণ্ণতাকে।’’
বুকের ভেতর বেজে ওঠে রবীন্দ্রনাথ, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে…’
গ্রাফিক্স: সুসেচৌ
(আরও গল্প পড়তে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)
(আপনারাও পাঠাতে পারেন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, জীবনের অভিজ্ঞতার কথা এই ই-মেলে: justduniya2017@gmail.com অথবা ইনবক্স করুন ফেসবুক পেজে: https://www.facebook.com/JustDuniyaNews )