১০০ শব্দের গল্প ১৯: লখীন্দর

১০০ শব্দের গল্প

১০০ শব্দের গল্প নিয়ে মজার খেলাটা হঠাৎই মাথায় এল। লকডাউনে যখন সবাই গৃহবন্দি তখন ভাললাগা, ভালবাসাগুলোকে আরও একবার খুঁজে পেলে কেমন লাগে? সেই খোঁজেই এই ১০০ শব্দের গল্প লেখার উদ্যোগ ফেসবুকে। অনেকেই সাড়া দিয়েছেন, অনেকেই দেননি। কিন্তু যাঁরা দিয়েছেন তাঁরা নিজের সেরাটা তুলে ধরেছেন। ১০০ শব্দ কারও বেশি হয়েছে কারও কম, কিন্তু সবাই লিখেছে গল্প। জাস্ট দুনিয়ার পাতায় এ বার সেই গল্পগুলোকেই আমাদের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা। ১৯তম দিনের গল্প লিখলেন সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় (www.facebook.com/supriyo.banerjee.90)


‘‘কী বলছ! সাইক্লোন আছড়ে পড়েছে তোমার শহরে?

অক্ষত থাকুক সব অশক্ত আশ্রয়গুলো। যেন কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হয় অবলা প্রাণীগুলোর আর পথশিশুদের। তবে আমার বুকের কম্পাঙ্ক কি আজ আর ধরা পড়ে না তোমার মনের রিখটার স্কেলে?

যে ঘূর্ণিঝড়ে ছত্রাকার হয় এ বুকের অলিন্দ, নিলয়, তার কোনও রেড অ্যালার্ট কি কখনও পৌঁছয় না তোমার কানে? জানো কি আমার হৃদসাগরের উপকূলে ঢেউয়ের উদ্দামতা আজ বিপদসীমা অতিক্রম করেছে?

তুমি যে একদিন বলেছিলে, তোমায় হৃদমাঝারে রাখব ছেড়ে দেব না! তবে এমন‌ বিপদসঙ্কুল উপত্যকায় আমাকে একলা ছেড়ে দিলে কেন? যদি আমি তলিয়ে যাই, বানভাসি হয়ে যদি এই নিষ্প্রাণ শরীরটা ভেসে ওঠে কোনও অচেনা দ্বীপান্তরে, তুমি কি সেদিনও একটিবার আসবে না? বেহুলার মতো তোমার লখীন্দরের জন্য প্রাণভিক্ষা চাইবে না কারুর কাছে?’’

এরপরেই আচমকা স্বপ্নটা ভেঙে গেল অরিত্রর! নিজের হাতের তালুতে একটা রাম চিমটি কেটে ব্যথায় ‘উহ্’বলে উঠল আর বুঝতে পারল যে, নাহ্ দিব্যি বেঁচে আছে সে। এ যাত্রা-পালায় তাকে আর লখীন্দর হতে হয়নি।

গ্রাফিক্স: সুসেচৌ

(আরও গল্প পড়তে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(আপনারাও পাঠাতে পারেন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, জীবনের অভিজ্ঞতার কথা এই ই-মেলে: justduniya2017@gmail.com অথবা ইনবক্স করুন ফেসবুক পেজে: https://www.facebook.com/JustDuniyaNews )