১০০ শব্দের গল্প ৬: গল্প হলেও সত্যি!

১০০ শব্দের গল্প

১০০ শব্দের গল্প নিয়ে মজার খেলাটা হঠাৎই মাথায় এল। লকডাউনে যখন সবাই গৃহবন্দি তখন ভাললাগা, ভালবাসাগুলোকে আরও একবার খুঁজে পেলে কেমন লাগে? সেই খোঁজেই এই ১০০ শব্দের গল্প লেখার উদ্যোগ ফেসবুকে। অনেকেই সাড়া দিয়েছেন, অনেকেই দেননি। কিন্তু যাঁরা দিয়েছেন তাঁরা নিজের সেরাটা তুলে ধরেছেন। ১০০ শব্দ কারও বেশি হয়েছে কারও কম, কিন্তু সবাই লিখেছে গল্প। জাস্ট দুনিয়ার পাতায় এ বার সেই গল্পগুলোকেই আমাদের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা। ষষ্ঠ  দিনের গল্প লিখলেন সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় (https://www.facebook.com/supriyo.banerjee.90)


ইদানীং কিছু দিন ধরেই রণজয়ের স্বপ্নে বার বার পূজার আনাগোনা শুরু হয়েছে। পাঁচবছর আগেই দুরারোগ্য ক্যানসারের জন্য রণকে চিরকালের মতো একা করে চলে গিয়েছিল পূজা। অনেক বড় বড় ডাক্তার, হাসপাতাল, কেমো, প্রচুর লড়াই করেও তাঁকে বুকে আগলে রাখতে পারেনি রণজয়। পূজাকে ছাড়া কীভাবে বাঁচতে হয়, সেটা একরকম ভুলেই গিয়েছিল সে। তাই নিজের জীবনের প্রতি তাঁর অদ্ভুত এক বিতৃষ্ণা তৈরি হয়েছিল তারপর থেকেই।

গত কয়েকদিন ধরে শরীরটাও ভাল যাচ্ছে না। গলায় ব্যথা, শুকনো কাশি আর মাঝেমাঝেই খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছে রণর। তার উপর রোজ রাতে পূজা স্বপ্নে এসে কান্নাকাটি করছে। বলছে, রণজয়ের থেকে এতটা দূরে এতদিন ধরে সে নাকি আর একদম থাকতে পারছে না। শেষ যে রাতে পূজা আবার আসে রণর স্বপ্নে, সেদিন ঘুমের মধ্যেই রণজয় পূজাকে কথা দেয় যে, আমি আসছি। তোমাকে এভাবে আর কষ্ট পেতে হবে না।

এরপর সকাল হতেই রণজয়কে নিয়ে শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ। প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে রণ ভর্তি হয় এক বেসরকারি নার্সিং হোমে। না, করোনা পজিটিভ সেদিন আর বেঁচে ফেরার সুযোগ দেয়নি তাঁকে। সন্ধের আগেই রণজয় পাড়ি দেয় তার ভালবাসার কাছে।

অন্যদিকে, আনন্দে চোখের জল বাঁধ মানে না পূজার। তাই রণর নিথর শরীরটা রাতে যখন শ্মশানের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ওর বাড়ির লোক, হঠাৎই ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে দুয়েক পশলা বৃষ্টি নামে।

গ্রাফিক্স: সুসেচৌ

(আরও গল্প পড়তে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(আপনারাও পাঠাতে পারেন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, জীবনের অভিজ্ঞতার কথা এই ই-মেলে: justduniya2017@gmail.com অথবা ইনবক্স করুন ফেসবুক পেজে: https://www.facebook.com/JustDuniyaNews )