জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেলেন তিন বিজ্ঞানী। লেজার ফিজিক্সে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য আর্থার অ্যাশকিন, জেরার্ড মুরো এবং ডোনা স্ট্রিকল্যান্ডকে যৌথ ভাবে ওই পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে মঙ্গলবার। পুরস্কার যে সংস্থা দেয়, সেই রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমির তরফে জানানো হয়েছে, ওই বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারের ফলে চোখের লেজার অস্ত্রোপচার এবং ওই অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। সে কারণেই ওই স্বীকৃতি।
পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রায় ৮ লাখ ৭০ হাজার ইউরো। তবে, পুরস্কারের অর্থমূল্য তিনটি সমান ভাবে ভাগ করা হয়নি। অ্যাকাডেমির তরফে জানানো হয়েছে, মার্কিন বিজ্ঞানী আর্থার অ্যাশকিন ওই পুরস্কারের অর্ধেক অর্থমূল্য পাবেন। আর বাকিটা দু’ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে ফরাসি বিজ্ঞানী জেরার্ড মুরো এবং কানাডার বিজ্ঞানী ডোনা স্ট্রিকল্যান্ডকে। প্রায় ৫৫ বছর এ বছর কোনও মহিলা বিজ্ঞানী পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন। ডোনা স্ট্রিকল্যান্ডের আগে ১৯০৩-এ মারি ক্যুরি এবং ১৯৬৩-তে মারিয়া গ্যোপের্ট-মায়ার পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়েছিলেন।
৯৬ বছরের আর্থার অ্যাশকিন আবিষ্কার করেছিলেন ‘অপটিক্যাল টুইজার’। যা দিয়ে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম অণু, পরমাণু, ভাইরাস ও অন্য জীবন্ত কোষের নাগাল পাওয়া সম্ভব। এমনকি আলোর তেজস্ক্রিয় চাপকে ব্যবহার করে বিভিন্ন বস্তুকণাকে স্থানচ্যুত করাও যায় ওই আবিষ্কারের ফলে। অ্যাকাডেমির দাবি, ওই আবিষ্কারের ফলে বিজ্ঞানীদের বহু দিনের স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী জেরার্ড মুরো ও কানাডার পদার্থবিজ্ঞানী ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড উচ্চ তীব্রতা ও অতি ক্ষুদ্র লেজার পালস তৈরির উপায় উদ্ভাবন করেছেন। অ্যাকাডেমির জুরিরা জানিয়েছেন, মানব সভ্যতার ইতিহাসে আর কখনও এত ক্ষুদ্র লেজার পালস আবিষ্কার হয়নি।
শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার পেলেন দুই বাঙালি, কেমিক্যাল সায়েন্সের রাহুল এবং স্বাধীন
গত বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়েছিলেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী ব্যারি ব্যারিশ, কিপ থর্ন এবং রেইনার ওয়েইস। তাঁরা আবিষ্কার করেছিলেন, গ্র্যাভিটেশন্যাল ওয়েভস। এই ধরনের তরঙ্গ যে থাকতে পারে তা এক শতাব্দী আগেই আন্দাজ করেছিলেন বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন। কিন্তু ওই তিন বিজ্ঞানী প্রমাণ করেছিলেন, গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ সত্যিই আছে।
এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুইডিশ অ্যাকাডেমি। আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে এই বিভাগে একসঙ্গে দু’টি পুরস্কার দেওয়া হবে। সুইডিশ অ্যাকাডেমির সদস্যদের #MeToo-র ঘটনা এবং অর্থনৈতিক অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাকাডেমি কর্তৃপক্ষ।
১৯০১ সাল থেকে নিয়মিত নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। চিকিৎসা, পদার্থ, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতি— এই ছ’টি বিভাগে বিশেষ অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কার দেয় রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।