জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল গড়াপেটা নিয়ে তদন্ত তিনদিনেই বন্ধ করে দিল শ্রীলঙ্কা পুলিশ। এই তিন দিন তিন জনকে জেরা করেছে স্তানীয় পুলিশ। তাঁদের থেকে সন্দেহজনক কিছু না পাওয়া এবং ম্যাচ গড়াপেটার যথোপযুক্ত প্রমানের অভাবেই এই তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পুলিশ।
তদন্তকারী অফিসার এসএসপি জগাথ ফনসেকা তদন্ত বাতিল করে বলেন, ‘‘আমরা আর কোনও তদন্ত করছি না। আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি এবং সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছে এই তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও কারণ নেই। তিন ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলার পর সেটাই নিশ্চিত হয়েছে।”
২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল গড়াপেটা নিয়ে গত মঙ্গলবার থেকে তদন্তে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা পুলিশ। অভিযোগ এসেছিল প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রীর তরফেও। তিনিও আঙুল তুলেছিলেন, দলের বেশ কয়েকজন প্লেয়ার এই ম্যাচ ছেড়ে দেন। সেই মতো শুরু হয়েছিল জেরা। সবার প্রথেম জেরা করা হয় সেই সব শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের নির্বাচক কমিটির প্রধান ও প্রাক্তন ক্রিকেটার অরবিন্দ ডি সিলভাকে। ছ’ঘণ্টা জেরা চলে তাঁর।
তাঁর জেরার রেশ ধরেই প্রথমে ডাকা হয় ওপেনার উপুল থরঙ্গা ও পরে ২০১১ বিশ্বকাপ খেলা দলের অধিনায়ক কুমার সঙ্গাকারাকে। থরঙ্গার দু’ঘণ্টা জেরা হলেও সঙ্গাকারার জেরা চলে ১০ ঘণ্টা। তাতেই সন্দেহ দানা বেঁধেছিল সব থেকে বেশি।
শুক্রবার ডাকা হয় ২০১১ বিশ্বকাপ দলের সহ-অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনেকে। কিন্তু তাঁকে তেমনভাবে জেরা করাই হয়নি। তার জেরার স্থানে পৌঁছনোর পরই তদন্তের দায়িত্ব থাকা অফিসার জানিয়ে দেন এই তদন্ত তাঁরা বন্ধ করছেন।
জয়বর্ধনে জানান, তাঁরা তাঁদের সাধ্যমতো এই তদন্তে সাহায্য করার চেষ্টা করেছেন।
২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল নাকি ভারতের হাতে বিক্রি করে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার কিছু প্লেয়ার। এমনই অভিযোগ করেছিলেন সেই সময়ের ক্রীড়ামন্ত্রী। এখন তিনি আর সেই দায়িত্বে নেই। তাঁর এই অভিযোগ শুনে অবাকই হয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা।
শ্রীলঙ্কার দিকে গড়াপেটার আঙুল উঠলে সেটা ঘুরিয়ে ভারতের দিকেও আসত। ভারতের কাছে ২০১১ বিশ্বকাপ জয় গর্বের একটা মুহূর্ত। তা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া থেকে বেঁচে গেল।
২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। উপুল থরঙ্গার ২ রানের পর দিলশান ৩৩ ও সঙ্গাকারা ৪৮ রান করেছিলেন। জয়বর্ধনে ১০৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ৫০ ওভারে শ্রীলঙ্কা থেমেছিল ২৭৪-৬-এ।
ভারত শুরুতেই ব্যাট হাতে ধাক্কা খায়। ওপেনার বীরেন্দ্র সেহবাগ কোনও রান না করেই ফিরে যান। আর এক ওপেনার সচিন তেন্ডুলকর করেন মাত্র ১৮ রান। এর পর ভারতের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন গৌতম গম্ভীর ও এমএস ধোনি। মাঝে ৩৫ রানে ফেরেন বিরাট কোহলি। গম্ভীর আউট হন ৯৭ রানে। শেষ পর্যন্ত যুবরাজ সিংকে (২১ অপরাজিত) সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ বের করে নিয়ে যান এমএস ধোনি (৯১ অপরাজিত)।
(খেলার জগতের আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)