জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ধোনির ফিটনেস তাঁর সব থেকে বড় অস্ত্র। এক জনের ক্রিকেট জীবনের সবে শুরু। আর এক জনের অবসর ঘোষণা হয়তো বিশ্বকাপের পরেই। এক জনের বয়স ২৩, আর এক জনের ৩৭। তবু বয়সে ১৪ বছরের ছোট মহেন্দ্র সিং ধোনির ফিটনেস দেখে বিস্ময়ে হতবাক ২৩ বছরের নারায়ন জগদীশান। ধোনির মতো জগদীশানও আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান। এ বছরই প্রথম আইপিএল দল পেয়েছেন।
সিএসকে-র ওয়েবসাইটে তিনি বলেন, ‘‘ধোনি দারুণ ফিট। ওর দৌড়নো দেখে বোঝার উপায় নেই, ৩৭ বছর বয়স। অত্যন্ত ক্ষিপ্র। ওর সম্পর্কে বলতে গেলে আরও একটা বিষয় বলতে হবে। সেটা হল, ও অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার মানুষ। কথা প্রায় বলেই না। যেটুকু বলে, সেটাই গোটা দলকে তাতিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।’’
ধোনির থেকে যে বিশাল সাহায্য পাচ্ছেন, সে কথা জানান জগদীশান। তিনি বলেন, ‘‘নেটে ধোনিকে কখনও উইকেট কিপিং করতে দেখি না। সরাসরি ম্যাচে নেমে কিপিং করে। কিন্তু আমাদের গাইড করার জন্য সবসময় আছে। ধরুন, ট্রেনিং করছি। মাহি ভাই ঠিক কোথা থেকে এসে বলে দেবে, কোথায়, কী ভুল হচ্ছে। ব্যাটিং বা উইকেট কিপিং নিয়ে যখনই সমস্যায় পড়ি, ওর কাছে ছুটে যাই।’’
তারকাখচিত চেন্নাই সুপার কিংস ড্রেসিংরুম উঠতিদের জন্য শেখার খনি। জগদীশানের কথাতেও সে কথা উঠে এসেছে। বলেন, ‘এই ড্রেসিংরুমের অংশ হতে পারাটা একটা স্পেশাল ব্যাপার। নিজের অভিজ্ঞতা বাড়ানোর দিকে মন দিচ্ছি। যতটা পারা যায়, এইসব কিংবদন্তিদের থেকে শিখে নেওয়ার চেষ্টা করছি। ক্রিকেটার হিসেবে এর মধ্যেই অনেক কিছু শিখেছি। এদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগ করে নেওয়াটাই একটা শিক্ষা।’ শেখার ব্যাখ্যা দিয়ে জগদীশান বলেন, ‘‘শুধু টেকনিক্যাল বিষয়গুলিই শিখছি, তা নয়। মানসিক ভাবে এইসব প্লেয়াররা ম্যাচের আগে কী ভাবে নিজেদের তৈরি করে, সেটাও শিখছি। মাঠে এবং মাঠের বাইরে এরা কী ভাবে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যায়, সেটাও দেখছি।’’
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)
চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে চেন্নাই সুপার কিংসের প্রস্তুতি শিবির চলছে। রবিবার দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ভারতীয় টেস্ট দলের ওপেনার মুরলি বিজয়। সুরেশ রায়না, মোহিত শর্মা, কর্ণ শর্মা, কে এম আসিফরাও সিএসকে-র হয়ে অনুশীলন শুরু করেছেন।
‘‘নেটে ধোনিকে কখনও উইকেট কিপিং করতে দেখি না। সরাসরি ম্যাচে নেমে কিপিং করে। কিন্তু আমাদের গাইড করার জন্য সবসময় আছে। ধরুন, ট্রেনিং করছি। মাহি ভাই ঠিক কোথা থেকে এসে বলে দেবে, কোথায়–কী ভুল হচ্ছে। ব্যাটিং বা উইকেট কিপিং নিয়ে যখনই সমস্যায় পড়ি, ওর কাছে ছুটে যাই।’’ নারায়ন জগদীশান