জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বাংলাদেশের এক নম্বর ফুটবল ক্লাব বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০-য় হারিয়ে এএফসি কাপের গ্রুপ লিগ (AFC Cup 2022, ATKMB) থেকে নক আউট পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখল হিরো আইএসএল সেমিফাইনালিস্টরা। তিন দিন আগে গোকুলম কেরালা এফসি-র কাছে হতাশাজনক হারের পরে এটিকে মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দো সমর্থকদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, পরের ম্যাচে তাঁর দল এর চেয়ে অনেক ভাল ফুটবল খেলবে। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কোচের দেওয়া সেই কথা রাখলেন সবুজ-মেরুন শিবিরের তারকারা।
শনিবার বৃষ্টিস্নাত যুবভারতীতে গোয়ানিজ স্ট্রাইকার লিস্টন কোলাসোর হ্যাটট্রিকেই এটিকে মোহনবাগান কার্যত উড়িয়ে দিল বসুন্ধরা কিংসকে। প্রথম ম্যাচে মাজিয়ার বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জেতা বসুন্ধরা শুরুর দিকে জয়ের ছন্দে থাকলেও প্রথম গোল খেয়ে যাওয়ার পর তাদের কার্যত অসহায় দেখায়। প্রথমার্ধে ২৪ ও ৩৩ মিনিটে কোলাসোর জোড়া গোলে এগিয়ে থাকা কলকাতার দলটি দ্বিতীয়ার্ধে ফের দুই গোল দিয়ে জয়ের রাস্তা পরিস্কার করে নেয়।
ম্যাচের ৫৩ মিনিটের মাথায় হ্যাটট্রিকের গোলটি করেন কোলাসো ও ৭১ মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে নামার ছ’মিনিটের মধ্যেই দলের চতুর্থ গোলটি করেন অস্ট্রেলীয় তারকা ডেভিড উইলিয়ামস। বসুন্ধরা এ দিন একাধিক গোলের সুযোগ পেলেও সবুজ-মেরুন শিবিরের তরুণ গোলকিপার অর্শ আনোয়ার ও সন্দেশ ঝিঙ্গন-সমৃদ্ধ রক্ষণের দক্ষতা তাদের চেষ্টা বারবার ব্যর্থ করে দেয়। স্মরণীয় এই জয়ের ফলে এটিকে মোহনবাগান শুধু যে তিন পয়েন্ট অর্জন করল, তা নয় গোল পার্থক্যও -২ থেকে ২-এ নিয়ে চলে এল, যা তাদের গ্রুপ লিগের শেষে হয়তো কাজে লাগবে। সে জন্য অবশ্য মঙ্গলবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে মলদ্বীপের মাজিয়া এসআর-কেও হারাতেই হবে।
গত ম্যাচের দলে চারটি পরিবর্তন করে এ দিন প্রথম এগারো গড়েন এটিকে মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো। গোলে অর্শ আনোয়ার, রক্ষণে সন্দেশ ঝিঙ্গন, মাঝমাঠে দীপক টাঙরি ও কার্ল ম্যাকহিউকে রাখেন তিনি। এ দিন প্রথম এগারোয় ছিলেন না ডেভিড উইলিয়ামস। তাঁকে দেখা যায় রিজার্ভ বেঞ্চে। দুই দলই এ দিন ৪-২-৩-১-এ খেলা শুরু করে।
কিন্তু খেলা শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিট পর থেকেই প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। ম্যাচের বয়স যখন ১২ মিনিট, তখন খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন রেফারি। প্রায় ৫০ মিনিট পরে ফের খেলা শুরু হয়। তবে সারাক্ষণ ঝিরঝিরে বৃষ্টির মধ্যেই খেলা চলে। শুরু থেকেই বিপক্ষকে চাপে রাখার পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিল বসুন্ধরা। প্রথমে গোলকিপার অর্শের হাতে ও পরে এটিকে মোহনবাগানের পোস্টে লেগে ফিরে আসে রিমন হোসেনের দূরপাল্লার শট।
ম্যাচের ২৪ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল পাওয়ার পরেই চনমনে হয়ে ওঠে এটিকে মোহনবাগান এবং তার ন’মিনিট পরেই দ্বিতীয় গোলটিও পেয়ে যায় তারা। এ বারে ফের লিস্টন কোলাসোর গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় সবুজ-মেরুন শিবির। ৫৩ মিনিটের মাথায় ফের গোল খেয়ে ফের হতোদ্যম হয়ে পড়ে তারা। এ বার হ্যাটট্রিকটি সেরে ফেলেন কোলাসো। ৭৭ মিনিটে জনি কাউকোর জায়গায় নামা ডেভিড উইলিয়ামস চতুর্থ গোলটি করে দলের জয় সুনিশ্চিত করে ফেলেন। তৃতীয় গোলটি যে জায়গা থেকে কোলাসো করেছিলেন, সেই জায়গা থেকেই, ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গোলে শট নেন অস্ট্রেলীয় ফরোয়ার্ড।
এটিকে মোহনবাগান দল: অর্শ আনোয়ার (গোল), প্রবীর দাস (কিয়ান নাসিরি), প্রীতম কোটাল, সন্দেশ ঝিঙ্গন, শুভাশিস বোস, কার্ল ম্যাকহিউ, দীপক টাঙরি (গুরসিমরত গোল), জনি কাউকো (ডেভিড উইলিয়ামস), মনবীর সিং (ফারদিন আলি মোল্লা), লিস্টন কোলাসো (রবি বাহাদুর রাণা), রয় কৃষ্ণা (অধি)।
(তথ্য ও লেখা আইএসএল ওয়েব সাইট)
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক)